কাল থেকে শুরু মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ১০ দলের টুর্নামেন্ট। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো রয়েছে স্কটল্যান্ডের মতো দলও। এই প্রথম নিরপেক্ষ ভেনুতে হচ্ছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টের আয়োজক বাংলাদেশ। সেখানেই হওয়ার কথা ছিল বিশ্বকাপ। যদিও বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নিরাপত্তার কারণে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া হয়। আরব আমির শাহির দুটি ভেনু দুবাই ও শারজায় হবে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি। এই প্রথম ব্যবহার হবে স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেম। যা আইপিএলের গত সংস্করণ এবং দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টেই শুধু ব্যবহার হয়েছে। কী এই নিয়ম?
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে গতি আনতে স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেম আমদানি করা হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য যে সময় ধার্য থাকে, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় তার মধ্যে ম্যাচ শেষ হয় না। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সমর্থকদের মধ্যে। অনেক ক্রিকেট প্রেমীই একঘেয়ে অনুভব করেন। খেলায় গতি আনতেই স্টপ ক্লক নিয়ম চালু হয়েছিল। একই ভাবে কোনও টিম ডিআরএস নিলে তাতেও অনেকটা সময় যায়। এই ডিআরএসের প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত সম্পূর্ণ করা যায়, সে কারণেই স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেম।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রতিটি ম্যাচে অন্তত ২৮টি ক্যামেরা থাকছে। প্রত্যেকটি থেকেই বিশ্লেষণমূলক ভিস্যুয়াল থাকবে। যে কারণে ডিআরএসের ক্ষেত্রে অনেক দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। টিভি আম্পায়ারের কাছে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলের ফুটেজ থাকায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।’ স্বাভাবিক ভাবেই এর ফলে অনেকটাই সময় বাঁচবে। কারণ, এখানে আলাদা করে প্রোডিউসারের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলের ভিস্যুয়াল চাইতে হবে না। হক আই অপারেটর এবং টিভি আম্পায়ার একই রুমে থাকছেন। আম্পায়ার সরাসরি বিভিন্ন ফুটছে দেখতে পাবেন।