Ranji Trophy Quarterfinal: সুদীপের প্রথম শতরানেও খুশি নয় বাবা, আসল লক্ষ্য অন্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Jun 06, 2022 | 8:30 PM

যতই সেঞ্চুরি করুন, বাবার মন পাচ্ছেন না সুদীপ। সুশান্তবাবুর কীসে খুশি হবেন? জানিয়ে দিলেন সে কথাই।

Ranji Trophy Quarterfinal: সুদীপের প্রথম শতরানেও খুশি নয় বাবা, আসল লক্ষ্য অন্য
বাংলার অবিচ্ছিন্ন জুটি সুদীপ-অনুষ্টুপ
Image Credit source: CAB Twitter

Follow Us

কলকাতা: পৃথ্বী শ (Prithvi Shaw) ২১ রানে প্যাভিলিয়নে। মায়াঙ্ক আগরওয়াল (Mayank Agarwal) ৪১ বল খেলে ফিরলেন ১০ রানে। মণীশ পাণ্ডের (Manish Pandey) অবদান ৭০ বলে ২৭ রান। ভারতীয় টেস্ট দলের ওপেনার শুভমন গিল (Shubman Gill) করলেন ৯। রঞ্জি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালের (Ranji Trophy) প্রথম দিনটা ‘তারকাদের’ নয়। তা হলে কি প্রথম দিন, তিন অঙ্কের রান নেই কারও? পাঠক, একটু ধৈর্য ধরুন। চারটি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের প্রথম দিন শতরান মাত্র দু’টি। মুম্বাইয়ের অভিষেককারী সুবেদ পার্কার এবং বাংলার ছেলে সুদীপ ঘরামি। দুই তরুণের ব্যাটই ঝলসে উঠল। সুদীপ অপরাজিত ১০৬ রানে। প্রথম দিনই বাংলার স্কোর মাত্র ১ উইকেটে ৩১০। সুদীপের সঙ্গে দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দিলেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ (৬৫), দিনের শেষে সুদীপের সঙ্গে অপরাজিত অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার (৮৫)।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম শতরান, তবু গলায় বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই সুদীপের। টিভি নাইন বাংলা’কে বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে বলেন, ‘স্বাভাবিক অনুভূতি। বাড়তি কী হবে! এটা পঞ্চম ম্যাচ, যখন ভালো খেলতে পারছিলাম না, দলের সকলে পাশে থেকেছে। ওদের জন্য ভালো লাগছে। সবচেয়ে বড় কথা হল, দিনের শেষে দলকে ভালো জায়গায় রাখতে পেরেছি।’

বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে নিয়মিত ভালো খেলা, সিনিয়র দলে সুযোগ, কিন্তু প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়ার অপেক্ষা। মাঝের সময়টা কতটা কঠিন ছিল? সুদীপ বলছেন, ‘পারফর্ম করার পরও অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। সে সময় দলের সকলেই ভালো খেলছিল। অবশেষে যখন সুযোগ পেয়েছি, কাজে লাগানো খুবই জরুরি ছিল। সেটা হয়েছে, তৃপ্তি তো এতেই পাব।’ অনেক সময়ই তরুণ ক্রিকেটাররা অর্ধশতরান পেরোতেই ধৈর্য হারিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন। কী ভাবে মাথা ঠাণ্ডা রাখলেন সুদীপ? ‘আমার উল্টো প্রান্তে অনুষ্টুপদার মতো অভিজ্ঞ একজনকে পেয়েছি। ওই আমাকে গাইড করেছিল। অনুষ্টুপদা বলছিল, লুজ বলের জন্য অপেক্ষা কর, নিজের স্বাভাবিকটা খেল। মোটিভেট করতে পেরেছি নিজেকে।’

সুদীপের বাবা সুশান্ত ঘরামিও ছেলের শতরানে উচ্ছ্বাসে ভাসতে নারাজ। এক সময় ছিলেন রাজমিস্ত্রী। এখন ছোটখাটো বাড়ি তৈরির কন্ট্র্যাক্ট নেন। বলছেন, ‘অনেক কষ্ট করে এই জায়গায় পৌঁছতে হয়েছে। ইচ্ছেটা ছিল ওর মধ্যে। আমাদেরও তাগিদ ছিল। ইচ্ছেপূরণ করতে গিয়েই কষ্ট করতে হয়েছে।’ কষ্ট কিছুটা লাঘব হল? ‘জাতীয় দলে খেলতে হবে। সেটাই আসল লক্ষ্য। এ রকম ভালো অনেকেই খেলে। তা দিয়ে কী হবে! দেশের হয়ে খেললে তবেই না স্বপ্নপূরণ।’

সুদীপ এ সব জানেন না। তিনি শুধু জানেন, ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে ১০৬ রানে ক্রিজে রয়েছেন। একটা ডাবল সেঞ্চুরি তাঁর এই সামান্য হাঁটার পথটুকু বদলে দিতে পারে।