কলকাতা: বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের (Bangladesh Cricket Team) সময়টা ভালো যাচ্ছে না। কয়েকদিন আগে ভারত সফরে এসে টেস্ট ও টি-২০ দুটো সিরিজই হেরেছিল টাইগার্সরা। এ বার নিজেদের দেশের মাটিতেও হারের মুখ দেখলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে মিরপুর টেস্ট হেরে ২ ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে পড়ল বাংলাদেশ (Bangladesh)। মিরপুরে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং কোনও বিভাগেই দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে টিকতে পারল না বাংলাদেশ। যার ফলে ৭ উইকেটে প্রথম টেস্ট জিতলেন কাগিসো রাবাডারা। সাড়ে তিন দিনেই শেষ হল মিরপুর টেস্ট।
ঘরের মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন। পিচ পড়তে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। রাবাডা, মুলডার, মহারাজদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে বাংলাদেশের কোনও ক্রিকেটার প্রথম ইনিংসে হাফসেঞ্চুরিও করতে পারেননি। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১৪ রানের অনবদ্য ইনিংস কাইল ভারানের। বল হাতে ৩ উইকেটের পাশাপাশি প্রথম ইনিংসে মুলডার হাফসেঞ্চুরি করেন।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। টাইগারদের লড়াইয়ে রাখেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলি। চতুর্থ দিন সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৩ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন মিরাজ। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬টি উইকেট নেন রাবাডা। মহারাজ প্রথম ইনিংসের মতো তুলে নেন ৩টি উইকেট।
১০৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি প্রোটিয়াদের। ২২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেন দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার টনি ৪১ করেন। ক্যাপ্টেন মার্কব়্যাম ২০। ত্রিস্টান স্টাবস ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০১৪ সালের পর এশিয়ার কোনও মাঠে জয়ের মুখ দেখল প্রোটিয়ারা। ১০ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে।
এই টেস্টে বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারানোর ফলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবলে উন্নতি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। চলতি ডব্লিউটিসি চক্রে ৭ টেস্টে খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৩ টেস্টে, হার ৩ টেস্টে ও ড্র ১টিতে। পয়েন্ট ৪০। এবং পয়েন্ট পারসেন্টেজ ৪৭.৬২।