ব্লুমফন্টেন: বাগে পেয়েও অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছে প্রতিটি দলই। ভারত, পাকিস্তানের মতো দলগুলি এশিয়া কাপে খেলছে। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এশিয়া কাপ হচ্ছে ওয়ান ডে ফরম্য়াটে। তেমনই বিভিন্ন দেশ ওয়ান ডে সিরিজ খেলছে। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। নাটকীয় ম্যাচে শুরু হল সিরিজ। অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল। যদিও প্রোটিয়া ক্রিকেটারই হারিয়ে দিল তাদের! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা হয়নি মার্নাস লাবুশেনের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একাদশেও সুযোগ দেওয়া হয়নি। মার্নাস কি শুধুই টেস্ট স্পেশালিস্ট? অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা হয়তো সেটাই ভাবেন। তাঁদের যেন যোগ্য জবাব দিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে এমনই একটা জবাব দিয়েছিলেন। অ্যাসেজ সিরিজে স্টিভ স্মিথের কনকাশন পরিবর্ত হিসেবে নেমে অনবদ্য ইনিংস খেলেন। এরপর আর তাঁকে বাদ দেওয়ার কথা মাথায় আসেনি। ওয়ান ডে ক্রিকেটে এই ইনিংসটা কি তেমনই ইমপ্য়াক্ট ফেলতে পারবে?
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিচেল মার্শ। অস্ট্রেলিয়ার অনবদ্য বোলিং ফিল্ডিংয়ের সামনে নায়কোচিত ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক তেম্বা বাভুমার। অপরাজিত ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ২২২ রানেই অলআউট। জশ হ্যাজলউড ৩ উইকেট নেন। মার্কাস স্টইনিস নিয়েছেন দুটি। একটি করে উইকেট শন অ্যাবট, অ্যাস্টন অ্যাগার, অ্যাডাম জাম্পা এবং ক্যামেরন গ্রিনের।
লক্ষ্য মাত্র ২২৩ রান। প্রোটিয়া পেস-স্পিনের সামনে একের পর এক ধাক্কা অস্ট্রেলিয়ার। অজি ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে কাগিসো রাবাডার বাউন্সারে গুরুতর চোট পান ক্যামেরন গ্রিন। হেলমেটে বল লাগে। রক্তাক্ত গ্রিন মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। গ্রিনের কনকাশন পরিবর্ত হিসেবে ক্রিজে প্রবেশ মার্নাস লাবুশেনের। সে সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৭২-৫! দ্রুতই অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১১৩-৭। অষ্টম উইকেটে নাটকীয় মোড়। অ্যাস্টন অ্যাগারকে সঙ্গে নিয়ে ১৪৫ বলে ১১২ রান যোগ করেন মার্নাস লাবুশেন। ৫৮ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটের নাটকীয় জয়। অ্যাগার ৪০ রানে অপরাজিত।
স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। এ বছর ছ’টি ওয়ান ডে ম্যাচে তিন নম্বর সেঞ্চুরি করলেন। মাত্র ২ রানে তাঁর ক্যাচ ফসকেছিল। এরপর ৮৮ রানে। এরপর সেঞ্চুরি। সেটাও কোনও কাজে এল না। লাবুশেন অপরাজিত ৮০ রানে, নির্বাচকদের যেন আরও একটা বার্তা দিলেন। জন্মসূত্রে লাবুশেনও প্রোটিয়া। তাদের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ একটা ইনিংস।