হোবার্ট: চোট-আঘাত, স্কোয়াডে বদল, সব মিলিয়ে প্রবল চাপে ছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে প্রথম ম্যাচে আয়ারল্য়ান্ডকে (Sri Lanka vs Ireland) সহজেই হারাল এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নরা। শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ১২৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। তবে অনেক ক্ষেত্রে এই রানও চাপের হয়ে দাঁড়ায়। চোটের জন্য বিশ্রাম দেওয়া হয় ছন্দে থাকা পাথুম নিশাঙ্ককে। যদিও এই রান চাপ হতে দিলেন না শ্রীলঙ্কা ব্যাটাররা। ওপেনিং জুটিতে ৬৩ রান যোগ করেন কুশল মেন্ডিস ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা। দ্বিতীয় জন ২৫ বলে ৩১ রানে ফিরলেও কুশল মেন্ডিসের অপরাজিত ৪৩ বলে ৬৮ রান এবং চরিত আসালঙ্কার ২২ বলে ৩১ রানের সৌজন্যে ১৫ ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা। নেট রান রেটও অনেকটা বাড়িয়ে রাখল শ্রীলঙ্কা।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। যদিও বড় রানের লক্ষ্য দিতে ব্যর্থ তারা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকে শ্রীলঙ্কা। দু-বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সুপার ১২ পর্ব নিশ্চিত করেছিল আয়ারল্যান্ড। এখানে প্রথম ম্যাচেই খেই হারাল। কিছুটা লড়াই হ্যারি টেক্টর এবং পল স্টার্লিংয়ের ব্যাটে। কোভিড পজিটিভ টেক্টর। যদিও অস্ট্রেলিয়া সরকার এবং টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী খেলার সুযোগ পেলেন হ্যারি টেক্টর। ব্যাট হাতে দলকে ভরসাও দিলেন। হ্যারির ৪৫ এবং পল স্টার্লিংয়ের ৩৪ রানের সৌজন্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে কোনওরকমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৮ অবধি পৌঁছায় আয়ারল্যান্ড।
শ্রীলঙ্কা বোলিংয়ে ভরসা দিলেন মহেশ থিকসানা। দুষ্মন্ত চামিরা ছিটকে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কা বোলিংয়ে যে ফাঁক তৈরি হয়েছিল, তা অবশ্য এই ম্যাচে বোঝা গেল না। মহেশ ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। পেস বোলিং বিভাগও ভাল পারফর্ম করেছে। শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলতে হলে আয়ারল্যান্ডকে আরও ভাল বোলিং করতে হত। যদিও বোলিং, ফিল্ডিং কোনও ভাবেই চাপে ফেলতে পারেনি তারা।