দুবাই: একঝাঁক বিশ্বমানের বোলার টিমে। তাও বিশ্বকাপের (T20 World Cup) শেষ চারে পৌঁছতে পারল না ভারত (India)। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পর পর দুটো ম্যাচ হেরে ছিটকে গিয়েছে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ভারতীয় টিম। আইসিসির টুর্নামেন্ট দীর্ঘদিন কোনও সাফল্য নেই। তবু, গ্রুপ লিগে ছিটকে যাওয়ার মতো বিপর্যয় ঘটেনি। কেন এমন হল, তা নিয়েই চলছে ময়নাতদন্ত। আর বরাবরের মতো সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar) এ নিয়ে ব্যাখ্যাও দিলেন।
সানির কথায়, ‘ঘটনা হল, প্রথম ৬ ওভারে, অর্থাৎ পাওয়ার প্লে-র (power play) সময় তিরিশ গজ সার্কেলের বাইরে দু’জন ফিল্ডার থাকে। গত কয়েকটা আইসিসি টুর্নামেন্টে এই সময়টার সুবিধে তুলতে পারেনি ভারত। বিপক্ষ টিম যদি শক্তিশালী হয়, তাদের টিমে যদি একটা দারুণ বোলার থাকে, ভারত আর রান করতে পারে না। এই পরিস্থিতি পাল্টানোর সময় এসেছে।’
ভারতীয় টিমের বিশ্বকাপ-বিপর্যয় নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। বিরাট কোহলি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের টিমও ঠিকঠাক বাছা হয়নি। দীর্ঘদিন রোহিত-রাহুলরা একসঙ্গে না খেলার প্রভাব পড়েছিল টিমে। সেই সঙ্গে আইপিএল খেলার ধকলও চাপে ফেলেছিল ভারতীয় টিমকে। বাবল-ক্লান্তি জুড়তে হবে এর সঙ্গে।
গাভাসকর কিন্তু নতুন একটা দিক তুলে ধরছেন। তাঁর যুক্তি, ভারতীয় টিমে কয়েক জন ভালো ফিল্ডার রয়েছেন। কিন্তু সেই সংখ্যাটা অত্যন্ত কম। যার প্রভাব পড়েছে মাঠে। রবীন্দ্র জাডেজা, বিরাট নিজে এবং তরুণ প্রজন্মের প্রায় সবাই-ই দারুণ ফিল্ডিং করেন। কিন্তু তার কোনও ছাপই ছিল না প্রথম দুটো ম্যাচে।
সানির কথায়, ‘দ্বিতীয় এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ভারতীয় টিমে বেশ কিছু এমন ফিল্ডার আছে, যারা সত্যিই অসাধারণ। নিউজিল্যান্ড যে ভাবে ফিল্ডিং করে, রান বাঁচায়, ক্যাচ নেয়, ঠিক সেই রকমই হতে পারে। এমনকি, বোলিং যদি সাধারণ মানের হয়, পিচ যদি পাটা হয়, একটা টিমের ভালো ফিল্ডিং কিন্তু বিরাট ফারাক গড়ে দিতে পারে। ভারতীয় টিমের দিকে তাকালে দেখা যাবে, ৩-৪ জন দারুণ ফিল্ডার রয়েছে। তাদের বাইরে কিন্তু অন্যদের উপর নির্ভর করা যায় না। বাকিরা রান বাঁচানোর ক্ষেত্রে বা বাউন্ডারি সেভ করার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।’
আরও পড়ুন : Ravi Shastri: কোচিং শেষে আবার কমেন্ট্রি বক্সে ফেরার ইঙ্গিত শাস্ত্রীর