সব্যসাচী! তা নন। তবে দলের স্বার্থে হয়েছিলেন। সুনীল গাভাসকর। ১৯৮৩-র বিশ্বজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক, টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ১০ হাজারের মাইলফলক পেরোনো। এমন নানা রেকর্ডের মালিক লিটল মাস্টার সুনীল গাভাসকর। বিশ্ব ক্রিকেট হোক আর ভারতীয় ক্রিকেট। তাঁকে ডান হাতি ব্যাটার হিসেবেই দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু দলের স্বার্থে এক ম্যাচে দীর্ঘ সময় বাঁ হাতি ব্যাটার হয়েছিলেন। সেই গল্প অনেকের জানা, আবার অনেকের অজানা। সেটা হয়েছিল রঞ্জি ট্রফিতে। তাও আবার সেমিফাইনালে মঞ্চে।
রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল মুম্বই। ১৯৮১-৮২ রঞ্জি মরসুমে সেমিফাইনালে কর্নাটকের বিরুদ্ধে খেলছিল মুম্বই। কিন্তু চরম অস্বস্তিতে পড়েছিলেন মুম্বই ব্যাটাররা। কর্নাটকের বাঁ হাতি স্পিনার রঘুরাম ভাট একের পর এক ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছিলেন মুম্বই শিবিরে। সে কারণেই এমন পন্থা নিয়েছিলেন সুনীল গাভাসকর। তৎকালীন বম্বে (মুম্বই) টিমে তারকা ব্যাটাররা ছিলেন। কিন্তু সেই বাঁ হাতি স্পিনারের ফাঁদে পড়েন। প্রথম ইনিংসে ২৭১ রান করে মুম্বই। সন্দীপ পাতিল সেঞ্চুরি করেন। সুনীল গাভাসকর ৪১ রান করলেও রঘুরাম ভাটেরই শিকার হন। প্রথম ইনিংসে একাই ৮ উইকেট নেন রঘুরাম ভাট।
মুম্বইয়ের ২৭১ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ৪৭০ রানের বিশাল স্কোর গড়ে কর্নাটক। দ্বিতীয় ইনিংসেও পাঁচ উইকেট নেন রঘুরাম। তাঁকে সামলাতে বাঁ হাতি ব্যাটিং করেন সুনীল গাভাসকর। শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ের হারও বাঁচান। দীর্ঘ সময় ক্রিজে পড়ে থেকে ১৮ রান করলেও তা সেঞ্চুরির চেয়েও দামি ইনিংস। প্রথম ইনিংস লিডের সৌজন্যে কর্নাটক ফাইনালে উঠলেও সেই ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে রয়েছে সুনীল গাভাসকরের জন্যই। বরং বলা ভালো, তাঁর বাঁ হাতি ব্যাটিংয়ের জন্য।