মেলবোর্ন: নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন রস টেলর। সেই তিনিই আবার ব্যাটার এক ভারতীয় ক্রিকেটার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ভারতের হয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। যিনি স্কাই নামেও পরিচিত। টি২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইনিংস প্রশংসিত হয়েছে ক্রিকেট মহলে। এর আগেও একাধিক টি২০ ম্য়াচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। মাত্র ২১টি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তাতেই আইসিসি-র ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর ব্যাটারের জায়গা দখল করে নিয়েছেন। সাধারণত চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন তিনি। সেই পজিশনে ব্যাট করতে নেমে ২১ ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং গড় ৪০.৬৫। স্ট্রাইক রেট ১৭৭। কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারে স্কাইকে উপরে নামালে তিনি আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেন বলে মতো কিউয়ি ক্রিকেটার রস টেলরের।
টেলরের পর্যবেক্ষণ যে খুব একটা ভুল নয়, তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন চলতি টি২০ বিশ্বকাপেই। এই প্রতিযোগিতায় সূ্র্যকুমারের ব্যাটিং গড় ৪৬.৫৬ এবং স্ট্রাইক রেট ১৮৪.৮৬। রস টেলর নিজেও চার নম্বরে পজিশনেই ব্যাট করতেন নিউজিল্যান্ডের হয়ে। তিনি মনে করেন, “টি২০ ম্যাচে চার-পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামা যথেষ্ট কঠিন কাজ। কেএল রাহুল, রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিদের মতো ব্যাটারের পর ব্যাট করতে নেমে আইসিসি-র ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর হওয়া কৃতিত্বের কাজ।”
টেলর একই সঙ্গে বলে দিচ্ছেন, “আমার মনে হয় আর একটু সময় গেলে স্কাই হয়তো ব্যাটিং অর্ডারে উপরে উঠে আসবে। অথবা যেখানে ও ব্যাট করতে চাইবে, টিম ম্যানেজমেন্ট ওকে সুযোগ দেবে। ও তখন কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা সময় বলবে। তবে পরিস্থিতির মোকাবিলায় ও অনবদ্য। ওর রানিং বিটউইন দ্য উইকেট সম্ভব ভালো। ওকে দেখেও খুব আত্মবিশ্বাসী লাগে।”
সূর্যকুমারের খেলাতেও মজেছেন রস টেলর। আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর হওয়ার পর তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন টেলর। তিনি বলেছেন, “বলের পেসকে কাজে লাগাতে জানে স্কাই। ছিমছাম শট খেলে। সেই সঙ্গে পাওয়ার শটও খেলতে পারে। শুধু দেশের মাটিতে নয়। দেশের বাইরেও ইতিমধ্য়েই নিজেকে প্রমাণ করেছে।”