আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। দূরত্ব কমছে ক্রমশ। তেমনই হৃদস্পন্দনও বাড়ছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে আজ মুখোমুখি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আরও একবার টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি ভারতের সামনে। ২০১৪ সালেও ফাইনালে উঠেছিল ভারত। সে বার রানার্স। ফলে অপেক্ষা বেড়েছে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ট্রফির। এ বারের টুর্নামেন্টে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা দু-দলই অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছে। ফাইনালেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এমনই প্রত্য়াশিত। টস কতটা ফ্যাক্টর হতে পারে? পরিসংখ্যান যা বলছে…
এ বারের বিশ্বকাপে কার্যত প্রতি ম্যাচেই থাবা বসিয়েছে বৃষ্টি। বেশ কিছু ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। গ্রুপ পর্বে ভারতের একটি ম্যাচও পরিত্যক্ত হয়েছিল। বৃষ্টি পিছু নিয়েছে নকআউটেও। সেমিফাইনালে এর প্রভাব পড়েছে। ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচ শুরু হয়েছিল দেড় ঘণ্টা দেরিতে। ম্যাচের মাঝেও বৃষ্টি আসায় বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল খেলা। ফাইনালেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে টস একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতেই পারে।
বার্বাডোজের এই মাঠে যে কটি দিনের ম্যাচ (স্থানীয় সময় সকাল ১০.৩০) হয়েছে, তাতে স্কটল্যান্ড বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচটি ভেস্তে গিয়েছিল। নামিবিয়া টস জিতে ব্যাট করেছিল। তারা স্কটল্য়ান্ডের কাছে হেরেছিল ম্যাচটি। ইংল্যান্ড এই মাঠে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। হেরেছিল ইংল্যান্ড। ভারত খেলেছিল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। প্রথমে ব্যাট করে জিতেছিল। ইংল্যান্ড রান তাড়া করে জিতেছিল আমেরিকার বিরুদ্ধে।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দু-দলের মূল শক্তি বোলিং। ফলে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে বড় টার্গেট দেওয়া সুরক্ষিত হতে পারে। আর ফাইনালের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচে রান তাড়া করা ঝুঁকির।