প্রতি ম্যাচের আগেই বিরাট প্রত্যাশা তৈরি হয়। আজ হয়তো বিরাটের ব্য়াটে বড় ইনিংস আসবে…। শুরুটাও তেমনই। কিন্তু শুরুর ছন্দ থাকছে না। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ছয় ইনিংসে বিরাট কোহলির প্রাপ্তি ছিল ৬৬ রান। প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমী। প্রত্যেকেই অপেক্ষায় ছিলেন সেমিফাইনালের মতো বড় মঞ্চে জ্বলে উঠতে বিরাট কোহলির ব্যাট। রোহিতের সঙ্গে বিরাট ওপেনিংয়ে আসতেই ধারাভাষ্যকাররও আক্ষেপ করছিলেন। বিরাট কোহলির মতো ব্যাটার, যিনি বছরের পর বছর অনবদ্য সব পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন, তাঁর ব্যাটে রান নেই এ যেন মানা যাচ্ছে না। এ দিনও দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু ইনিংস স্থায়ী হল মাত্র ৯ বল।
টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। বৃষ্টির পর ম্যাচ শুরু হওয়ায় পিচের আর্দ্রতা কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন বাটলার। ইংল্যান্ড যে শুরুটা চেয়েছিল, সেটাই যেন পেল। ইনিংসের শুরুতেই বিরাটের উইকেট প্রাপ্তি, এর চেয়ে বড় কী হতে পারে? ভারতীয় ইনিংসের তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পান বিরাট কোহলি। আইপিলে তাঁর সতীর্থ রিস টপলির পঞ্চম ডেলিভারিতে স্টেপ আউট করেছিলেন। যদিও ব্যাটে বলে সংযোগ হয়নি। শেষ বলে লেগ বাইয়ে স্ট্রাইক রাখেন।
অবশেষে দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে রানের খাতা খোলেন বিরাট কোহলি। জোফ্রা আর্চারের ডেলিভারিতে ট্যাপ করে সিঙ্গল। পাঁচ বল খেলে রানের খাতা খোলেন বিরাট। টপলির স্পেলের দ্বিতীয় তথা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের সেকেন্ড ডেলিভারিতে বিশাল ছয় মেরে বিরাট যেন বড় কিছুর বার্তা দেন। এমন একটা ওভার বাউন্ডারিতে প্রমাণ হয়, তিনি আত্মবিশ্বাসী। পিচ যদিও সহজ ছিল না। পরের বলেই লিডিং এজ লাগে। কোনওরকমে ক্যাচ থেকে বাঁচেন। ২ রান নেন। কিন্তু বিরাট ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হল না। এরপরের বলেই বাঁ হাতি পেসার রিস টপলির বলে ক্লিন বোল্ড বিরাট কোহলি।
সেমিফাইনালের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচে ৯ বলে ৯ রানেই শেষ বিরাট ইনিংস। ওভার বাউন্ডারিতে যে স্বপ্নটা দেখিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের, সেটা স্বপ্নই থেকে গেল। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডও যেন খোঁচা দিতে ছাড়ল না। তাদের এই টুইটেই পরিষ্কার। বিরাট কোহলির জার্সি নম্বর ইঙ্গিত করেই এই পোস্ট।