সদ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। দেশের প্রত্যেকেই গর্বিত। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। টেলিভিশনের পর্দায় ম্যাচ দেখে অনেকেরই হয়তো উদ্বেগে কেটেছে। অবশেষে বিশ্ব জয় করতেই স্বস্তি। গত এক বছরে নানা চড়াই উতরাইয়ের সাক্ষী থেকেছে ভারতীয় ক্রিকেট। গত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, গত বছর ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনাল। ট্রফির খুব কাছ থেকে ফিরেছিল ভারত। অবশেষে ২০১৩ সালের পর প্রথম কোনও আইসিসি ট্রফি জয়। আর এই বিশ্বজয়ী ভারতীয় টিমের অন্যতম অংশ বাংলার দয়ানন্দ গরানি।
টেলিভিশনের পর্দায় বিরাট, রোহিত, বুমরা, হার্দিকদের দাপট দেখা যায়। তবে ম্যাচের বাইরে তাঁদের পরিশ্রমে আরও অনেকেই সামিল থাকেন যা সকলের নজরে পড়ে না। কোচিং স্টাফের পাশাপাশি থাকেন সাপোর্ট স্টাফ। যাঁরা টিমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তেমনই একজন দয়ানন্দ। ভারতীয় টিমের থ্রো ডাউন স্পেশালিস্ট। নেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাটারদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করেন থ্রো ডাউন স্পেশালিস্টরাই। ভারতের বিশ্বজয়ী দলে বাংলার কোনও ক্রিকেটার না থাকলেও বাংলা যোগ দয়ানন্দ।
বৃহস্পতিবার সকালেই বার্বাডোজ থেকে দেশে ফিরেছে টিম। নয়াদিল্লি থেকে মুম্বই হয়ে এ দিনই পৌঁছেছেন। কোলাঘাটের কুড়ে ঘর থেকে বিশ্বকাপ খেলার দেখেই বড় হওয়া। আর এ বার সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের জামিট্যা গ্রামের দয়ানন্দ গরানি। খুব গরিব ঘর থেকে উঠে আসা তাঁর। কোলাঘাটে প্র্যাকটিস। কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবে ঘুরে ঘুরে আইপিএলের দলে থ্রো ডাউন স্পেশালিস্ট হিসেবে সুযোগ। তারপর ইন্ডিয়া দলে।
২০২০ সাল থেকে ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন দয়ানন্দ। বাবা অসুস্থ। সেই কারণে দ্রুত বাড়ি এসেছেন এ দিন বিকেলেই। আর তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনাতেই বরণ করে নেয় এলাকার মানুষ। কোলাঘাট থেকে গ্রামের বাড়ি জামিট্যার পর্যন্ত শোভাযাত্রার মাধ্যমে গোটা কোলাঘাট শুভেচ্ছা জানায় দয়ানন্দকে। প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রী দয়ানন্দর কাছে আবদার করেছিলেন বিশ্বকাপ জিতে আসার। এটাই যেন বিবাহ বার্ষিকীর পুরস্কার। দল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে, স্ত্রীর ইচ্ছে পূরণ করতে পেরেছেন। স্ত্রীকে পাশে নিয়ে সেটাই জানালেন দয়ানন্দ।