আমেদাবাদ: কথায় আছে, ক্যাচ মিস-ম্যাচ মিস। তেইশের বিশ্বকাপে লিগ পর্বে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটাই ধরা যাক। মাত্র ২০০ রান তাড়া করতে নেমে দ্রুত উইকেট হারিয়েছিল ভারত। এমন সময় বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল জুটি গড়তে শুরু করেন। ভারত আরও চাপে পড়তে পারতো। ইনিংসের শুরুতেই বিরাট কোহলির ক্যাচ ফেলেন মিচেল মার্শ। এরপর আর সুযোগ দেননি কোহলি। জয়ের দোরগোড়ায় আউট হন। প্রথম ম্যাচ আর ফাইনালের সঙ্গে আকাশ-পাতাল ফারাক। অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং দেখে মনে হচ্ছিল, স্কোয়াডের ১৫জনই মাঠে নেমে পড়েছে। ওয়ার্নার-লাবুশেনরা ৩০ গজের বাইরে বলই গলতে দিচ্ছিলেন না। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিংই প্রধান ভূমিকা নিয়েছে। পুরো বিশ্বকাপে কোন দলের ফিল্ডিং কতটা কার্যকরী ছিল? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা ফিল্ডিং ইমপ্যাক্ট নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রথম দুটি স্থানে রয়েছেন মার্নাস লাবুশেন এবং ডেভিড ওয়ার্নার। অজি দলের আর এক তারকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল রয়েছেন নবম স্থানে। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল ফিল্ডার লাবুশেন। তাঁর ইমপ্যাক্ট রেটিং ৮২.৬৬। যদিও বাকি ফিল্ডারদের মধ্যে (উইকেট কিপার ছাড়া) ক্যাচের দিক থেকে সর্বাধিক নয় লাবুশেনের। তিনি আটটি ক্যাচ নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের ড্যারেল মিচেল নিয়েছেন ১১টি ক্যাচ। অনবদ্য ফিল্ডিংয়ে ১৫ রান বাঁচিয়েছেন মার্নাস, একটি রান আউট, আরও তিনটি রান আউটে ভূমিকা। তিনটি দুর্দান্ত থ্রো। সব মিলিয়েই রেটিং পয়েন্ট ঠিক হয়েছে।
ভারতীয় ফিল্ডারদের ইমপ্যাক্ট কেমন? ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের নিরিখে তালিকায় ভারতীয়দের মধ্যে সেরা চতুর্থ স্থানে থাকা রবীন্দ্র জাডেজা। তাঁর ইমপ্যাক্ট পয়েন্ট ৭২.৭২। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন বিরাট কোহলি। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৫৬.৭৯। তালিকায় ভারতের এই দু-জনই। দলগত ফিল্ডিংয়ের দিক থেকে টুর্নামেন্টের সেরা অস্ট্রেলিয়াই। তাদের রেটিং পয়েন্ট ৩৮৩.৫৮। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা (৩৪০.৫৯)।
কিছুটা অবাক করার মতো হলেও তৃতীয় স্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। তাদের রেটিং পয়েন্ট ২৯২.০২। ভারত রয়েছে চতুর্থ স্থানে। রানার্স ভারতীয় দলের রেটিং পয়েন্ট ২৮১.০৪। ফিল্ডিংয়ে সব শেষের দুটি স্থান বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের।