দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চার ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। ডারবানে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। সঞ্জু স্যামসনের সেঞ্চুরির পাশাপাশি অবদান ছিল তিলকেরও। কার্যকর ক্যামিও ইনিংস খেলেছিলেন। বেরহায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রানআউট হন তিলক। ২০ বলে ২০ রান করেছিলেন। প্রথম দু-ম্যাচেই চারে ব্যাট করেছিলেন তিলক। সেঞ্চুরিয়নে ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন পেতেই অপরাজিত সেঞ্চুরির ইনিংস। ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব নিজের ব্যাটিং পজিশন ছেড়ে দেন তিলককে। এর কারণও জানালেন ক্যাপ্টেন স্কাই।
সেঞ্চুরিয়নে ম্যাচ শেষে তিলককে নিয়ে ক্যাপ্টেন স্কাই বলেন, ‘ওর সম্পর্কে নতুন করে কী বলব। আসলে, বেরহায় ম্যাচের পরই আমার কাছে এসেছিল তিলক। জিজ্ঞেস করে ওকে তিন নম্বরে সুযোগ দেওয়া সম্ভব কিনা। এখানে ম্যাচের আগেই ওকে বলে দিয়েছিলাম, তিনে নামবে। ম্যাচটা উপভোগ করেছে। ওর দক্ষতা সম্পর্কে ভরসা ছিল। সেঞ্চুরির পর ওকে নিয়ে আরও আনন্দ হচ্ছে।’
সূর্য আরও যোগ করেন, ‘ও চেয়েছিল তিনে ব্যাট করতে। পারফর্ম করেছে, জায়গাটা অর্জন করেছে।’ সঞ্চালক সূর্যকে বলেন, ও তো এই ইনিংসে অপরাজিত ছিল। তা হলে কি জোহানেসবার্গেও তিনেই ব্যাট করবে? সূর্য হেসে বলেন, ‘আশা করি, জায়গাটা ওরই থাকবে। ও যে জায়গাটা চেয়েছিল পেয়েছে। ওর জন্য খুবই আনন্দ হচ্ছে। ওর পরিবারের কথা ভেবে ভালো লাগছে।’
তিলক, অভিষেকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, বোলিংয়ে অর্শদীপ। এর মাঝেও কিন্তু বেশ কয়েকজন প্লেয়ারের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সূর্যকে সরাসরি সেই প্রশ্নের সামনে পড়তে না হলেও নিজে থেকেই টিমের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘টিম মিটিংয়ে যা আলোচনা হয়েছে, প্রত্যেকেই মাঠে নেমে সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। আমরা যে ধরনের খেলতে চেয়েছিলাম, প্রত্যেকেই করে দেখিয়েছে। প্রত্যেককে ভয়ডরহীন খেলার কথা বলা হয়। নেটে যেমন ব্যাটিং করে, রাজ্য দল কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যে ভাবে খেলে এখানেও সেটাই বলেছিলাম। তাতে যদি এক-দু ইনিংসে ব্যর্থ হয়, কোনও সমস্যা নেই। তাগিদটা এক থাকলেই হল।’