ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনটা দুর্দান্ত হয়েছে বরুণ চক্রবর্তীর। ২০২১ সালে আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। এরপরই হঠাৎ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ। সে বার অবশ্য প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছিল ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স ছিল সেটাই। বিশ্বকাপের পরই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার পর প্রত্যাবর্তন হয় বরুণের। তাঁকে নিয়ে যে তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল, প্রত্যাবর্তনের পর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে যেন সেই ইঙ্গিতও। তরুণ ক্রিকেটারদের জন্যও বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছেন বরুণ চক্রবর্তী।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে অনেক ক্রিকেটারেরই উত্থান। তবে জাতীয় দলে সুযোগ পেলে অনেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে আর খেলতে চান না। এখন অবশ্য বোর্ডের নির্দেশিকায় সেটা হচ্ছে। ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি চেন্নাইতে। প্রথম বার দেশের জার্সিতে হোম গ্রাউন্ডে খেলতে নামছেন বরুণ চক্রবর্তী। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁকেই পাঠানো হয়। নিজের প্রত্যাবর্তন নিয়েও কথা বলেন বরুণ।
ইডেন গার্ডেন্সে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতেছেন বরুণ। দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে বলেন, ‘আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান খুবই ভালো। আমি তো বলব, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি এবং আইপিএলের মতোই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। প্রত্যেককেই বলব, সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে খেলার কথা। কারণ, আমরা তুলনামূলক ছোট মাঠে খেলি। সে কারণেই বোলারদের কাছে আরও বড় চ্য়ালেঞ্জ। আমার প্রত্যাবর্তনেও সহযোগিতা করেছে ঘরোয়া ক্রিকেটই।’
তিন বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই ধারাবাহিক ভালো পারফরম্য়ান্স করে যাচ্ছেন বরুণ চক্রবর্তী। ইডেনে স্পিন সহায়ক পিচেও দাপট দেখিয়েছেন। চেন্নাইতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা বরুণ চক্রবর্তীই।