কলকাতা: আপনাকে তো কেকেআর ক্যাপ্টেন হিসেবে ভাবছে! টিম হোটেলের রুমে তখন বসে তারকা। যাঁর নামের পাশে সদ্য জুড়ে গিয়েছে সবচেয়ে দামি অলরাউন্ডার ট্যাগ। আইপিএলের ইতিহাসে দেশি-বিদেশি কোনও অলরাউন্ডারের দাম ২০ কোটি পার করেনি। তিনি কিনা ২৩.৭৫ কোটি দাম পেলেন! ভেবেছিলেন তাঁকে নিয়ে এমন কাণ্ড হতে পারে? শুধু কি তাই, টিমকে চ্যাম্পিয়ন করা ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ারকে ছেড়ে মধ্যপ্রদেশের ক্রিকেটারকেই কিনা নতুন ক্যাপ্টেন ভাবা হচ্ছে! এই তিনি কে? নাম বলার জন্য় কোনও পুরস্কার নেই। ভেঙ্কটেশ আইয়ার যে কেকেআরের ভবিষ্যৎ, তা অবশ্য স্পষ্ট করে দিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
কেকেআরে থাকতে পেরে ভেঙ্কি খুশি। বলে দিলেন, ‘কেকেআর আমাকে শুরু থেকে চেনে, জানে। এখন মধ্যপ্রদেশের হয়ে মুস্তাক আলি খেলছি। আমি রজত পাতিদার, আবেশ খান, সবাই মিলেই নিলাম দেখছিলাম। কেকেআর আমার উপর ভরসা রেখেছে, এতেই ভালো লাগছে।’
গত বার টিমকে খেতাব জেতানোর ক্ষেত্রে দারুণ অবদান ছিল ভেঙ্কটেশের। বাঁ হাতি ব্যাটার ও মিডিয়াম পেসার কোয়ালিফাইয়ার আর ফাইনালে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। তাঁর ওই দুটো ইনিংসই ফারাক গড়ে দেয়। ভেঙ্কি বলে দিলেন, ‘গতবার টিমের জন্য ব্যাটিং শুধু নয়, সব রকম ভাবে চেষ্টা করেছি। সবচেয়ে বড় কথা হল, টিমে লিডার হওয়ার চেষ্টা করেছি। টিমটা আমার, এই ভাবনাটাকে সমর্থন করে কেকেআর। আইপিএল ট্রফির দিকে শুধু তাকায় না কেকেআর। প্লেয়ার ডেভেলপমেন্টটাই আসল। রমনদীপ, রিঙ্কুর পাশে যে কারণে থেকেছে দল। কেকেআর এমন একটা টিম, যারা কোর গ্রুপটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে। পুরনো টিমটাকে ফেরানোর চেষ্টা করছে।’
রিটেনশন লিস্টে ছিলেন না। মন খারাপ হয়েছিল তাঁর। বলছেনও, ‘একটু অবাকই হয়েছিলাম। ৩ বছর আগে মেগা নিলামের আগে রিটেন করা হয়েছিল আমাকে। কিন্তু শুবমনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কেকেআর রিটেন না করার পর একটু মন খারাপ হয়েছিল। মনে হয়েছিল, টিম আমার জন্য ঝাঁপাবে। কেকেআরের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত মধ্যপ্রদেশেরও কোচ। আমি তো বারবার ওঁকে বলছি, আমাকে টিমে নিন। এখন তো মনে হচ্ছে, রিটেন না করেই ভালোই করেছে।’
এক আইয়ারকে ছেড়ে আর এক আইয়ারকে নেতা হিসেবে ভাবা শুরু হয়ে গিয়েছে নাইট শিবিরে। কেকেআরের ক্যাপ্টেন হওয়ার স্বপ্নও স্পষ্ট করে দিলেন ভেঙ্কটেশ। বললেন, ‘ক্যাপ্টেন্সি একটা ট্যাগ। কেউ লিডার হতে চাইলে তাকে আটকানো যায় না। বাকিটা টিমের উপর নির্ভর করছে।’