কলকাতা: আইপিএলের (IPL) সুপারস্টার যদি খুঁজতে হয়, বিরাট কোহলিকে দিয়েই শুরু হবে তালিকা। ২৩৭টা ম্যাচ খেলে ৭২৬৩ রান করেছেন তিনি। সাতটা সেঞ্চুরি। ১৩০ স্ট্রাইকরেট। গত ১৬ বছর ধরে বিরাট খেলছেন আইপিএল। গত দশ বছর তিনি খেলে চলেছেন একই ছন্দে। যদিও আরসিবিকে (RCB) এখনও খেতাব জেতাতে পারেননি। তা না পারলেও বিরাটের বিকল্প শুধু বিরাটই। ২২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে এ বারের আইপিএল। প্রথম ম্যাচেই গত বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে নামবে আরসিবি। চিপকের ওই ম্যাচে ধোনি বনাম বিরাট দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে সবাই। তার আগে হরভজন সিং সতর্ক করলেন আরসিবিকে। কেন?
এক দিকে আইপিএলে বিরাটের আকাশ ছোঁয়া সাফল্য়, অন্য দিকে এই একই টুর্নামেন্টে বিরাটের ব্যর্থতা। আশ্চর্যের মনে হলেও এটা সত্যি। আইপিএলে যে কোনও মাঠে বিরাট অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু চিপকে বিরাট চরম ব্যর্থ। সেই কথাই মনে পড়িয়ে দিয়েছেন হরভজন। চিপকে বিরাটের গড় মাত্র ৩০। স্ট্রাইক রেট ১১১। ভাজ্জি বলে দিচ্ছেন, ‘বিরাটের সার্বিক পারফরম্যান্স যা, তার তুলনায় চিপকে বিরাটের খেলা মেলানো যাবে না। ও যে ধরনের ব্যাটার, তা চিপকে দেখা যায়নি। চিপকে ব্যাট করা সহজ নয়। ওই মাঠে টেনিস বলের মতো বাউন্স দেখা যায়। ওপেনার হিসেবে যা সামলানো বেশ কঠিন। ভুলে গেলে চলবে না, চেন্নাইয়ে রয়েছে জাডেজার মতো স্পিনার, যে স্টাম্প টু স্টাম্প বল করে। বল যেমন ঘুরবে, নিচুও হবে। ভ্য়াবচ্যাক পিচ।’ সিএসকের বিরুদ্ধে ধোনির ঘরের মাঠে শেষ পাঁচটা ইনিংসের মধ্যে তিনটেতে বিরাট আউট হয়েছে পাওয়ার প্লেতেই। ভাজ্জি বলছেন, ‘আমার তো মনে হয়, ২০ ওভার ব্যাট করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামতে হবে বিরাটকে। তা হলে ও ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে পারবে।’
একই সঙ্গে ভাজ্জির মনে হচ্ছে, বিরাটকে যদি আরসিবির হয়ে আইপিএল জিততে হয়, তা হলে ২০১৬ সালের মতো পারফর্ম করতে হবে। সে বছর বিরাট ১৬ ম্যাচে ৯৭৩ রান করেছিলেন। ভাজ্জির কথায়, ‘বিরাটকে ২০১৬ সালের আইপিএলের মতো খেলতে হবে। যদি সেটা পারে, ও টিমকে এগিয়ে দিতে পারবে। আরসিবি টিমটা কিন্তু খারাপ নয়। বিরাটের সঙ্গে ম্যাক্সওয়েল রয়েছে। ক্যামেরন গ্রিন, রজত পাতিদারদের দেখা যাবে। তার মধ্যে বিরাট যদি দারুণ কিছু করে, তা হলে টিমও এগিয়ে যাবে।’