ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট এবং ওয়ান ডে সিরিজে জিতেছে ভারত। সফর শুরু হয়েছিল টেস্ট সিরিজ দিয়ে। ডমিনিকায় প্রথম টেস্টে ইনিংস এবং ১৪১ রানের বড় ব্যবধানে জয় ভারতের। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি হয় পোর্ট অব স্পেনে। সমস্যা তৈরি করে বৃষ্টি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত হওয়ায় জিততে মরিয়া ছিল ভারতীয় দল। দ্বিতীয় ইনিংসে বিধ্বংসী ব্যাটিং করে ভারত। ওভার প্রতি সাড়ে পাঁচেরও বেশি রান তোলে। এক দিক থেকে বলা যায়, বাজবলের চেয়েও বিধ্বংসী। তবে একটা ইনিংস এবং নিয়মিত এই স্টাইলে খেলা এক জিনিস নয়। ভারতীয় দলের বাজবল খেলতে বাধা কোথায়! সেই বিষয়টিই তুলে ধরলেন ভারতের অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টেস্ট ক্রিকেটের আঙিনায় নতুন ধারা এনেছে ইংল্যান্ড। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম কোচ এবং বেন স্টোকস অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই প্রতি ম্যাচে জয়ের জন্য ঝাঁপাচ্ছে ইংল্যান্ড। ওভার প্রতি প্রায় ৫-এর বেশি রান তুলছে। ভারতীয় দলও কি নিয়মিত এই ধরনের খেলা খেলতে পারে? এর ব্যাখ্যায় সদ্য একটি ভিডিয়ো বার্তায় রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে আমরা খুবই ভালো খেলছি। খুব তাড়াতাড়িই বেশ কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে দল। সে সময়টা সহজ হবে না।’
ভারতীয় দল যদি বাজবল ধরনে খেলতে থাকে এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় চাই। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এবং সমর্থকদের একই রকম ধৈর্য থাকবে, তাও মনে করেন না অশ্বিন। দেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার আরও যোগ করেন, ‘ভারতীয় দল যে সময় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে, তখন যদি বাজবল খেলা হয়! কোনও ব্যাটার যদি শট খেলতে গিয়ে দ্রুত আউট হয়? আর ভারত যদি দুটো ম্যাচ হারে, তারপর আমরা কী করব? আমরা কি প্লেয়ারদের পাশে দাঁড়িয়ে এই খেলার ধরনটাকে সমর্থন করে যেতে পারব? সেক্ষেত্রে দেখা যাবে, একাদশ থেকে অন্তত চারজন প্লেয়ার বাদ পড়বে।’
বাজবল খেলতে গিয়ে বেশ কিছু ম্যাচ হেরেছেও ইংল্যান্ড। এ বারের অ্যাসেজে প্রথম দু-ম্যাচে হারের পরই বাজবল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। যদিও ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট এই স্টাইলে ভরসা রাখে। লিডস টেস্ট থেকে সাফল্যও মেলে। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট বৃষ্টিতে অমীমাংসিত না থাকলে এ বারের অ্যাসেজ সিরিজ জিততেও পারত ইংল্যান্ড।