কলকাতা: ধারাবাহিক টিম হিসেবে গত এক দশক ধরে টানা পারফর্ম করেছে নিউজিল্যান্ড। সেই টিমেরই চরম পতন দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) গ্রুপ পর্যায় থেকেই কার্যত বিদায় কিউয়িদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের ফলে সব অঙ্কই এখন অত্যন্ত কঠিন হয়ে গেল কেন উইলিয়ামসনের টিমের কাছে। অন্য দিকে ক্যারিবিয়ান টিম আবার স্বমহিমায়। দু’বারের চ্যাম্পিয়নরা ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলে চলেছে। প্রত্যাশা মতোই ওয়েস্ট ইন্ডিজ জায়গা করে নিয়েছে শেষ আটে।
আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ১৪৯-৯। টপ অর্ডার ব্যাটাররা কেউই কার্যত রান পাননি। ব্র্যান্ডন কিং, জনসন চার্লস, নিকোলাস পুরান, রস্টন চেজ, রভম্যান পাওয়েল ফিরে যাওয়ার পর আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল ক্যারিবিয়ান টিমকে নিয়ে। ৩০-৫ থেকেই চমৎকার ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেরফান রাদারফোর্ড নট আউট ৬৮ করে টিমকে খাদের কিনারা থেকে টিম ঘুরে দাঁড় করান। ৩৯ বল খেলে ৬টা ছয় ও দুটো চার দিয়ে সাজিয়েছেন ইনিংস। অন্য দিকে তাঁকে সঙ্গত করেন আকিলা হোসেন (১৫), আন্দ্রে রাসেল (১৪) ও রোমারিও শেফার্ড (১৩)। টার্বুবাতে কিন্তু কিউয়ি বোলাররা দুরন্ত বোলিং করেছেন। ট্রেন্ট বোল্ট ৩ উইকেট নেন। ২টি করে টিম সাউদি ও লকি ফার্গুসনের। তাতেও শেষ রক্ষা হল না। ৯ উইকেটে ১৩৬ রান তোলে কিউয়িরা। ১৩ রানে হার কেন উইলিয়ামসনদের।
এ বারের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়েই কথা হচ্ছে বারবার। কেউই টিমকে টানতে পারছেন না। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও তাই হল। ডেভন কনওয়ে, ফিন অ্যালান, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসনরা আবার ব্যর্থ। ড্যারেল মিচেল, কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। তবে টিমকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন গ্লেন ফিলিপস। ৩৩ বলে তিনি ৪০ করেন। বাকি আর কেউই রান উপহার দিতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডকে মূলত ভাঙেন আলজারি জোসেফ। ৪ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪টে উইকেট। বাঁ হাতি স্পিনার গুদাকেশ মোতি নিয়েছেন ৩ উইকেট। ম্যাচের পর উইলিয়ামসন টিমের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে বলেছেন, ‘পাওয়ার প্লে-তে কিন্তু বোলাররা ভালো বোলিং করেছিল। এই রকম পিচে একটা দুটো খেলা ঘোরানো ওভার লাগে। সেটা আমরা বের করতে পারিনি।’