বলুন তো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম কী? এই প্রশ্নের উত্তর যদি না জানেন, তা হলে ফেল করে যাবেন। কীসের পরীক্ষায় বলুন তো? কনকাশন টেস্টে! পুরো ব্যাপারটা তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে? তা হলে আর একটু খোলসা করে বলা যাক। ক্রিকেট মাঠে কনকাশন টেস্ট দেখেছেন তো? ম্যাচ দেখলে অবশ্যই নজরে পড়েছে। কোনও ক্রিকেটারের হেলমেট কিংবা মাথায় আঘাত লাগলে দ্রুত মাঠে ঢোকেন ফিজিও এবং চিকিৎসক। সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের মাঠেই কনকাশন পরীক্ষা করা হয়। ওই পরীক্ষায় ঠিক কী প্রশ্ন করা হয় ক্রিকেটারকে? প্রশ্নের ধরন শুনলে মজাই পাবেন। এই নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ক্রিকেটে এখন কনকাশন নিয়ে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। রাজকোটে চলছে ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্ট। রাজকোট ব্যাটিং প্যারাডাইস। টস জিতে ব্যাটিং নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যদিও স্কোরবোর্ড দ্রুত ৩৩-৩ হয়ে যাবে, এমনটা কেউই প্রত্যাশা করেনি। এর মাঝে রোহিতের অস্বস্তি বাড়ায় মার্ক উডের একটি বাউন্সার। গত দুই ম্যাচেই একজন করে পেসার খেলিয়েছে। এই ম্যাচে মার্ক উড-অ্যান্ডারসন দুই পেসার খেলানো হচ্ছে। মার্ক উডের বাউন্সার রোহিতের হেলমেটে লাগে। দ্রুত ফিজিও ঢোকেন। কনকাশন পরীক্ষা হয় রোহিতের।
চা বিরতির কিছু আগে লেগ স্পিনার রেহান আহমেদের বিরুদ্ধে সুইপ শট খেলার সময় বল ফোর আর্মে লেগে রোহিতের হেলমেটে লাগে। প্রোটোকল মেনে আবারও ফিজিও মাঠে আসেন। কনকাশন পরীক্ষা হয় রোহিতের। সে সময় ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন স্পিনার গ্রেম সোয়ান, আর দুই ভারতীয় দীপ দাশগুপ্ত ও দীনেশ কার্তিক। কনকাশন টেস্ট নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। গ্রেম সোয়ানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁদের ক্রিকেটারদের কনকাশন টেস্টে কী প্রশ্ন করা হয়। সোয়ানের অবশ্য় প্রশ্ন শুনেই হাসি পেয়েছিল। যেন এই প্রসঙ্গ না উঠলেই ভালো হত! কিছুটা দ্বিধা নিয়েই জানান, ‘আমাদের ক্রিকেটারদের মূলত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নাম জিজ্ঞেস করা হয়। মজার বিষয়, বেশির ভাগ ক্রিকেটারই তা বলতে পারেন না। এত ঘনঘন প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয় যে, কেউই মনে রাখতে পারে না। যা নিয়ে হাসাহাসিও হয়।’
দীপ দাশগুপ্ত এবং দীনেশ কার্তিকও হাসি চেপে রাখতে পারেননি। এরপর দীনেশ কার্তিক জানালেন কনকাশন টেস্টে ভারতীয় ক্রিকেটারদের কী ধরনের প্রশ্ন করা হয়। দীনেশ বলেন, ‘আমাদের মূলত সপ্তাহের প্রতিটা দিন পর পর বলতে হয়। তেমনই উল্টোদিক থেকেও। আবার কোনও সময় ১ থেকে ১০ অবধি পর পর বলতে হয়, আবার একই জিনিস উল্টো দিক থেকেও মানে ১০, ৯, ৮ এ ভাবে বলতে হয়।’ স্পিনারদের বলে আঘাত লাগলে অবশ্য খুব বেশি প্রশ্ন করা হয় না। তবে মার্ক উডের মতো এক্সপ্রেস গতির বোলারের বাউন্সার হেলমেটে লাগা যথেষ্ঠ চিন্তার। রোহিত অবশ্য কনকাশন টেস্টে পাশ করেন, ব্যাটিং চালিয়ে যান এবং সেঞ্চুরিও করেন।