মরসুমের প্রথম জয়। প্রত্যাবর্তনের পর টানা দুই ম্যাচে হারের স্বাদ। ঘুরে দাঁড়াতেই হত। গ্যালারিতে ঋষভ পন্থের জন্য পোস্টার। সেই বিখ্যাত গানের লাইন, যা লিভারপুল সমর্থকদের খুবই প্রিয়। ঋষভের জন্য, ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’ বার্তা। এ বারের আইপিএলের প্রথম জয়ে ঋষভকে একা হাঁটতে হয়নি। ব্যাটিংয়ে পৃথ্বী শ, ডেভিড ওয়ার্নার এবং তিনি নিজে পারফর্ম করেছেন। তেমনই বোলিংয়ে খলিল আহমেদ, মুকেশ কুমার। টিম গেমে জয়।
দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচের সেরা মুহূর্ত কোনটা? চোখের সামনে অনেকগুলো টুকরো মুহূর্ত ভেসে উঠবে। পৃথ্বী শ-র কামব্যাক, নতুন বলে খলিলের স্পেল, ঋষভ পন্থের ক্যাচ, ধোনির মতো ‘নো লুক’ রান আউটের চেষ্টা, পাথিরানার অনবদ্য একটা ক্য়াচে মহেন্দ্র সিং ধোনির সাবাশি, ম্যাচ শেষে গুরু-শিষ্যর একসঙ্গে হেঁটে আসা, ঋষভ-মাহির এক হাতের ছয়-কত্ত মুহূর্ত। এর মধ্যে ঋষভের প্রাপ্তিও অনেক। ৪৬৫ দিন পর আইপিএলের মঞ্চে হাফসেঞ্চুরি। ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম হাফসেঞ্চুরি। প্রিয় মাহি ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে আবারও সময় কাটানো।
Fifty after 465 days and it had to be in the City of Destiny 🥺#YehHaiNayiDilli #IPL2024 #DCvCSK pic.twitter.com/kag6cMaAta
— Delhi Capitals (@DelhiCapitals) March 31, 2024
জীবন-মৃত্যুর লড়াই শেষে ক্রিকেটে প্রত্য়াবর্তনের পর প্রথম ম্যাচে ছোট্ট একটা ক্যামিও ইনিংস খেলেছিলেন। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৩২ বলে ৫২ রানের ইনিংস। এর নেপথ্যেও রয়েছে ধীর-স্থির একটা পরিস্থিতি। একটা সময় ২৩ বলে ২৩ রানে ছিলেন ঋষভ। পরবর্তী ৮ বলে ২৮ রান! নবম বলে আউট। প্রথম জয়ের পর ঋষভ পন্থ বলছেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে এখন আর প্রত্যাবর্তন নিয়ে ভাবি না। শুধু এটুকু বুঝি, যখনই মাঠে নামব, একশো শতাংশ দিতে হবে। এই ম্যাচে শুরুতে কিছুটা সময় নিয়েছি। দীর্ঘদিন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম। দেড় বছর কম সময় নয়।’
টি-টোয়েন্টি গতির খেলা। দ্রুত রান তুলতে হয়। ২৩ বলে ২৩ রানের সময় ঝুঁকি ছিল দিল্লির। ঋষভ যোগ করলেন, ‘নিজের উপর এটুকু বিশ্বাস ছিল, যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারি।’ দেড় বছর ধরে এমন দিনেরই তো অপেক্ষায় ছিলেন। সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে, এই দায়িত্ব ভোলেননি ঋষভ।