পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রচুর প্রচুর ম্যাচ খেলেছেন। পাকিস্তানের বিশ্ববন্দিত বোলিং লাইন আপ সমঝে চলতেন। এখনও শ্রদ্ধা করেন। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের বাইরে সচিনের সঙ্গে বন্ধুত্বও রয়েছে। তবে ম্যাচে সচিনের মতো প্রতিপক্ষ, কেউই কল্পনা করে না। বোলারদের দুঃস্বপ্নেও আসতেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। তার একটি অজানা কাহিনিও রয়েছে। সচিন তেন্ডুলকর পাকিস্তানের হয়ে খেলেছিলেন! পাকিস্তানের বিশ্বজয়ী ক্যাপ্টেন ইমরান খানের ক্যাপ্টেন্সিতে। তখনও ভারতের হয়ে অভিষেকই হয়নি সচিন তেন্ডুলকরের। গল্প মনে হলেও এটাই সত্যি!
চমক বললেও কম হয়। মুম্বইয়ের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়াম এমনই ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল। বিশ্বের সেরা ব্যাটার সচিন তেন্ডুলকর মাঠে নেমেছিলেন পাকিস্তান জার্সিতে। সচিনের বয়স তখন ১৫। ভারত সফরে এসেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। সালটা ১৯৮৭। ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান টিমের দুই সদস্য জাভেদ মিয়াঁদাদ ও আব্দুল কাদির লাঞ্চের জন্য মাঠের বাইরে ছিলেন। ইমরানের পরিবর্ত ফিল্ডার প্রয়োজন ছিল। তরুণ সচিন তেন্ডুলকর পাকিস্তানের জার্সিতে ফিল্ডিংয়ে নামেন।
প্রতিপক্ষ টিমের হয়েই ফিল্ডিংয়ে নামাটা অস্বস্তিকর হলেও তরুণ সচিন তেন্ডুলকরের কাছে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের মঞ্চ ছিল। সচিনকে লং অনে দাঁড় করান ইমরান খান। ভারতের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব সেদিকেই বড় শট খেলেন। সচিন প্রায় ১৫ মিটার দৌড়েও অবশ্য বল অবধি পৌঁছতে পারেননি।
সচিনের আত্মজীবনীতে এই প্রসঙ্গ রয়েছে। সেখানে সচিন লিখেছেন-ম্যাচের পর এক বন্ধুর কাছে অভিযোগও করেছিলেন। সচিনের দাবি ছিল, তাঁকে যদি লং অনের পরিবর্তে মিড অনে দাঁড় করানো হত, তা হলে ক্যাচ নিতে পারতেন। সচিনের বর্ণময় কেরিয়ারে এটিও একটি স্মৃতির মুহূর্ত হয়ে রয়েছে।