Cricket Retro Story: বিরাট যন্ত্রণা বুকে চেপে সারা রাত সমর্থকদের যে দিন অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর…

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Aug 05, 2023 | 9:30 AM

Sachin Tendulkar: সালটা ২০০৩, ২৩ মার্চ... এই দিন সচিন তেন্ডুলকর বিরাট কষ্ট পেয়েছিলেন। তার নেপথ্যে রয়েছে বিশেষ এক কারণ।

Cricket Retro Story: বিরাট যন্ত্রণা বুকে চেপে সারা রাত সমর্থকদের যে দিন অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর...
Cricket Retro Story: বিরাট যন্ত্রণা বুকে চেপে সারা রাত সমর্থকদের যে দিন অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর...
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়াদিল্লি: এই জন্যই তিনি কিংবদন্তি। নিজের দুঃখ, কষ্ট সত্ত্বেও সমর্থকদের কখনও নিরাশ করেননি সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। তাই ক্রিকেট বিশ্বে অনেকে বলে থাকেন, ‘সচিন তেন্ডুলকর হওয়া সহজ নয়।’ ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার এক দশক পরও সচিনের জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্রা ভাটা পড়েনি। তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য এখনও উদগ্রীব হয়ে থাকেন তাঁর ভক্তরা। ক্রিকেটের ঈশ্বর তিনি। কিন্তু এই ক্রিকেটের ঈশ্বরের এক সময় হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল। বিরাট যন্ত্রণা বুকে চেপে তাও সারা রাত সমর্থকদের আবদার মিটিয়েছিলেন সচিন। সেই গল্পই ফিরে দেখুন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।

সালটা ২০০৩, ২৩ মার্চ… এই দিন সচিন তেন্ডুলকর বিরাট কষ্ট পেয়েছিলেন। তার নেপথ্যে রয়েছে বিশেষ এক কারণ। ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকায় সে বার বিশ্বকাপের ফাইনালে ১২৫ রানের বিরাট ব্যবধানে জিতেছিল অজিরা। ফাইনালে সচিনের ব্যাট চলেনি। মাত্র ৪ রান করেছিলেন তিনি। গ্লেন ম্যাকগ্রা কট অ্যান্ড বোল্ড করেছিলেন সচিনকে। ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগ সেই ম্যাচে ৮২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু ভারতকে জেতাতে পারেননি। বিশ্বকাপ হাতছাড়া হওয়ার যন্ত্রণায় কাতর ছিলেন ভারতের সকল ক্রিকেটাররা। এমন অবস্থায় সচিন-সেওয়াগরা তাড়াতাড়ি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি প্রাক্তন ক্রিকেট প্রসাশক অমৃত মাথুর তাঁর এক বই ‘পিচসাইড’ এ সেই সময়কার গল্প তুলে ধরেছেন।

অমৃত মাথুর তাঁর বইতে লিখেছেন — সে বার বিশ্বকাপে ভারত অন্যতম ফেভারিট দল ছিল। কিন্তু বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি সচিনরা। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাড়াতাড়ি দেশে ফিরতে চাওয়ায় ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওই বিমান সংস্থা জানিয়ে দেয়, চার্টার্ড ফ্লাইট পাওয়া যাবে না। যদি ভারতীয় ক্রিকেটাররা ইকোনমি ক্লাসে সফর করতে চান, তা হলে তারা সেই ব্যবস্থা করে দিতে পারে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাতে রাজি হয়ে যান। তাড়াহুড়ো করে সকলে বিমানে উঠে পড়েন। সেই সময় সচিন ক্রিকেট আইকন। তাঁকে বিমানে দেখে ভক্তরা অটোগ্রাফ, ফটোগ্রাফের আবদার করতে থাকেন। বিশ্বকাপে হারের যন্ত্রণা বুকে চেপেই সচিন সকল ভক্তদের সারা রাত জেগে অটোগ্রাফ দিতে থাকেন। কোনও ভক্তকে তিনি নিরাশ করেননি। এর থেকেই প্রমাণ হয়, তিনি কেন ক্রিকেটের ঈশ্বর। আসলে ঈশ্বর যে কখনও তাঁর ভক্তদের আবদার না মিটিয়ে থাকতে পারেন না। এরপর সচিনের বিশ্বকাপ জয়ের কাহিনি সকলেরই জানা। ২০১১ সালে অবশেষে সচিনের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নপূরণ হয়েছিল।

Next Article
Ben Stokes: বিমানে ব্যাগ চুরি! সাহায্য চাইলেন ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্যাপ্টেন স্টোকস
Stuart Broad Dinesh Karthik : নতুন সূচনা সদ্য অবসর নেওয়া ব্রডের, স্বাগত জানালেন কার্তিক