Sourav-Karthik: কে রে এই পাগল! কার্তিকের উপর কেন খাপ্পা হয়েছিলেন মহারাজ ?
পুরানো সেই দিনের কথা...কথাটা ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের। অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ও সদ্য অভিষেক হওয়া দীনেশ কার্তিকের মাঝে কী ঘটেছিল ওই হাইভোল্টেজ ম্যাচে?
কলকাতা: তিনবছরের অপেক্ষার পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন। মেন ইন ব্লু জার্সিতে ৩৭ বছরের দীনেশ কার্তিকের কামব্যাকটা রূপকথার চেয়ে কিছু কম নয়। জাতীয় দলে ফেরার দরজা খুলে দিয়েছিল পঞ্চদশ আইপিএল। কোটিপতি লিগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সি গায়ে জ্বলে ওঠে ‘বুড়ো’ কার্তিকের ব্যাট। তাঁর সংগ্রহ ছিল ৩৩০ রান। ১৮৩ স্ট্রাইক রেট। তিনবছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন এই পারফরম্যান্সেরই ফল। এই সুযোগে ১৬ বছর পর টি-২০ ফরম্যাটে প্রথম অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন। বছরের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলা টি-২০ বিশ্বকাপের দলে ডিকে-র নাম দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
এতো গেল বর্তমান সময়ের কথা। এবার একটু পিছন ফিরে দিকে তাকানো যাক। যেদিন তরুণ দীনেশ কার্তিকের উপর রেগে কাঁই হয়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। সালটা ২০০৪। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়ান ডে দলে সদ্য অভিষেক হয়েছে তরুণ ডিকের। সেবছরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডেও ডাক পান। তবে ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচে জায়গা হয়নি তাঁর। একে তো মর্যাদার ম্যাচ। সারা বিশ্বের চোখ সেদিকে থাকবে তা জানারই কথা। তার উপর প্রথমে ব্যাট করে রাহুল দ্রাবিড় এবং অজিত আগরকর ছাড়া অন্য কারও ব্যাটে সেভাবে রান ওঠেনি। ২০০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ভারত । প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীদের লক্ষ্যচ্যুত করতে ঝুলিতে থাকা সবরকম অস্ত্র প্রয়োগ করছেন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। ঘটনাটা সেই সময়েরই।
সেই ম্যাচে ভারতীয় দলের ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠে জল নিয়ে যাওয়ার কাজ করছিলেন ডিকে। বিরতির সময় জল নিয়ে যাওয়ার সময় মাঠে হোঁচট খেয়ে সোজা অধিনায়কের গায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন! ঘাসের কারণে ভারসাম্য় রাখতে পারেননি। একে তো পাহাড়প্রমাণ চাপ, তার উপর এমন একটা ঘটনায় সৌরভের সব রাগ গিয়ে পড়ে তরুণ কার্তিকের উপর। এরপর কী হয়েছিল? ১৫ বছর পর ২০১৯ সালের একটি সাক্ষাৎকারে সেদিনের ঘটনার কথা হাসতে হাসতে বলেছিলেন উইকেটকিপার-ব্যাটার।
সেদিনের ঘটনা স্মরণ করে কার্তিক বলেন, “দাদা ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন। জোরে চেঁচিয়ে হিন্দিতে বলেন, কৌন হ্যায় রে ইয়ে পাগল। কাহাঁ সে পকড় কর লাতে হ্যায়।” বাংলায় যার অর্থ, কে রে এই পাগল ? কোথা থেকে এদের ধরে নিয়ে আসে! গোটা ঘটনাটি ঘটে যুবরাজ সিংয়ের সামনে। পরে যুবরাজ জানান, সেদিন রাগের মাথায় সৌরভের মুখ থেকে কী কী কথা বেরিয়েছিল। আর সেদিনের ম্যাচের ফলাফল ? তা সবারই জানা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ৩ উইকেটে পরাজিত হয় ভারত।