হেডিংলে: তিনটে প্রশ্ন এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে হেডিংলেতে। প্রশ্ন এক, এ বার কি টেস্ট ক্রিকেটে বড় রান দেখা যাবে বিরাট কোহলির ব্যাটে? প্রায় বছর তিনেক আগে শেষ সেঞ্চুরি এসেছিল, কলকাতা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি টেস্টে। তারপর থেকে শুধুই শূন্যতা। এত লম্বা সেঞ্চুরির খরা কখনও দেখা যায়নি। বিরতি কাটিয়ে কি হেডিংলেতেই সেঞ্চুরি পাবেন ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন?
প্রশ্ন দুই, চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্ক রাহানের বিকল্প কি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টেই দেখা যাবে? পূজারা দীর্ঘদিন রানে নেই। সেই অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে। রাহানেও গত দশটা টেস্টে বড় রান পাননি। নানা মহল থেকে এই দু’জনের পরিবর্ত হিসেবে নতুন মুখ খোঁজার দাবি তুলছে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প মুখ হতে পারেন সূর্যকুমার যাদব। হেডিংলেতেই কি খেলানো হতে পারে সূর্যকে?
প্রশ্ন তিন, হেডিংলেতে কি বোলিং কম্বিনেশন বদলাতে ভারত? পিচে ঘাস কম। যা দেখে বিরাট পর্যন্ত প্রেস মিটে বলেছেন, ‘ঘাস যে এতটা কম থাকবে, বুঝতে পারিনি। টিম কী হবে, ভাবতে হবে আমাদের।’ যদি বিরাটের কথাই ধরা হয়, তা হলে কিন্তু লর্ডসের মতো চার পেসার, এক স্পিনারের বদলে ৩ পেসার, ২ স্পিনারে যেতে পারে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সে ক্ষেত্রে হয়তো দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে টিমে আসতে পারেন অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আর তা যদি হয়, তা হলে কিন্তু ইশান্ত শর্মাকে বসতে হতে পারে।
প্রশ্ন যাই থাকুক না কেন, একটা ব্যাপার নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই, জো রুটের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জিততে মরিয়া ভারতীয় টিম। সেই সঙ্গে ইতিহাসেরও হাতছানি বিরাটদের সামনে। ১৯৮৬ সালে কপিল দেবের ভারত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দুটো ম্যাচ জিতেছিল। ৩৫ বছর পর সেই ইতিহাস ছুঁতে পারে ভারতীয় টিম। আর সেই স্বপ্ন সফল করার জন্য লর্ডসের মতো পারফরম্যান্স চাইছেন বিরাট। বিস্ফোরক কিন্তু সংযত। ছন্দে থাকা ভারতীয় টিম কিন্তু চাপে রাখছে রুটের টিমকে।
ইংলিশ টিমের চাপ সবচেয়ে বেশি। ক্যাপ্টেন রুট ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যান ছন্দে নেই। সেই অর্থে বড় রান দিতে পারছেন না টিমকে। দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েই বিরাটদের কাছে হেরেছে। ভারতীয় টিমকে থামাতে হলে ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফরম্যান্স দিতে ইংলিশ টিমকে। চাপ কতটা, খুব ভালো করেই জানেন রুট। তাই বলছেনও, ‘হাতে এখনও তিনটে টেস্ট আছে। সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে হলে আমাদের অভাবনীয় কিছু করে দেখাতে হবে। সেটার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি।’
এই মুহূর্তে বিরাটরা নন, চাপে ইংল্যান্ডই। কিন্তু ঘরের মাঠে খেলার একটা অ্যাডভান্টেজ পাবেন রুটরা। তাই সিরিজ মুঠোয় রাখতে হলে এই হেডিংলেতেও ভারতকে জয় পেতে হবে।