দীপঙ্কর ঘোষাল
করব…লড়ব…। এর পর ম্যাচ শুরু হলে বোঝা যাবে। নতুন মরসুম, নতুন অধিনায়ক। কোচও নতুন। প্রত্য়াশা, নতুন সাফল্য়ও আসুক কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। অপেক্ষার প্রহর শেষে আইপিএলের নতুন সংস্করণে আজ অভিযান শুরু করছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। গত ১৫টি সংস্করণের মধ্যে মাত্র দু-বার ট্রফি জিতেছে কেকেআর। শেষ বার কলকাতায় ট্রফি এসেছিল ২০১৪ সালে। এরপর থেকে শুধুই অপেক্ষা। এর মধ্যে বেশ কয়েক বার অনেকটা কাছে গিয়েও খালি হাতে ফিরেছে কলকাতা। এ বার স্কোয়াডে যেমন বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে, তেমনই কোচিং টিমেও। গত মরসুমের পরই কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ব্রেন্ডন ম্য়াকালাম। মরসুম শুরুর আগে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে কোচ করে কেকেআর। শুরু থেকেই প্রশ্ন রয়েছে, রঞ্জি ট্রফিতে অন্য়তম সফল কোচ টি-টোয়েন্টি ফ্র্য়াঞ্চাইজি লিগে কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন? তেমনই প্রশ্ন জাগছে অধিনায়ক নীতীশ রানাকে নিয়েও। পঞ্জাব কিংস বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্য়াচ প্রিভিউতে এমন অনেক প্রশ্ন-উত্তর TV9Bangla-য়।
কেকেআর শিবিরে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে। আমেদাবাদে শেষ টেস্টে চোটের কথা বলেন শ্রেয়স আইয়ার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কোনও ঝুঁকি নেয়নি। সেই ম্যাচে স্কোয়াডে থাকলেও ব্য়াটিং-ফিল্ডিং করেননি শ্রেয়স। আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়ার কথা বলা হলেও, কেকেআর শিবির আশাবাদী, টুর্নামেন্টে পরের দিকে পাওয়া যাবে শ্রেয়স আইয়ারকে। নিয়মিত অধিনায়ক এবং দলের মূল প্লেয়ার না থাকাটা কেকেআর শিবিরে ধাক্কা হলেও যাঁরা রয়েছেন তাঁদের নিয়েই লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়া নীতীশ রানা। তাঁকে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৮ সাল থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলছেন নীতীশ। ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লির হয়ে সাদা বলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নীতীশ অবশ্য় ম্যাচের আগে জানিয়েছেন, কেকেআরে অধিনায়কের ট্য়াগ এখন লাগলেও গত কয়েক বছর থেকেই লিডারশিপ ভূমিকায় রয়েছেন। কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সঙ্গে জুটিতে ভালো পারফরম্য়ান্সেরও ভরসা দিয়েছেন নীতীশ রানা। হতে পারে, নেতৃত্বের বাড়তি দায়িত্ব তাঁর মধ্য়ে থেকে সেরাটা বের করে আনল।
অ্যাওয়ে ম্য়াচে অভিযান শুরু করছে কেকেআর। কলকাতায় জোরকদমে অনুশীলন সারলেও মোহালিতে ম্য়াচের আগের দিন বাধ সেধেছে বৃষ্টি। যার জেরে অনুশীলন বাতিল করতে হয়। অধিনায়ক নীতীশ রানা অবশ্য ইন্ডোরে অনুশীলন সেরেছেন। মরসুমের প্রথম ম্য়াচ হওয়ায় কেকেআরের একাদশ বা কম্বিনেশন নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, লিটন দাস যোগ দেননি এখনও। লকি ফার্গুসন পৌঁছলেও তার চোট রয়েছে। দলে যোগ দিয়েছেন সুনীল নারিন। একাদশ হতে পারে- ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রহমানুল্লা গুরবাজ, নীতীশ রানা, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, অনুকূল রায়, শার্দূল ঠাকুর, টিম সাউদি, উমেশ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী। তবে টস এবং প্রথমে ব্য়াটিং না বোলিং সেই অনুযায়ী একাদশ বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করা নারায়ণ জগদীশনকে খেলানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে গুরবাজের জায়গায় বিদেশি অলরাউন্ডার ডেভিড উইজেকে খেলানোর সুযোগ থাকবে। তেমনই বাড়তি ব্য়াটার খেলানোর লক্ষ্য থাকলে অনুকূল রায়ের পরিবর্তে মনদীপ সিংকে রাখা হতে পারে। প্রতিপক্ষ পঞ্জাব শিবিরে শিখর ধাওয়ান, স্য়াম কারান, লিয়াম লিভিংস্টোনের মতো বিধ্বংসী প্লেয়াররা রয়েছেন। কলকাতার লড়াইটা সহজ হবে না। কেকেআর আনপ্রেডিক্টেবল। হয়তো এটাই ইউএসপি হয়ে দেখা দিল!