দীপঙ্কর ঘোষাল : এ বারের আইপিএলে হোম ম্য়াচ বেশ কিছু খেলেছে রাজস্থান রয়্যালস। তবে প্রকৃত অর্থেই হোম ম্য়াচ ছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। এর আগের হোম ম্যাচগুলি গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে খেললেও গত লখনউয়ের বিরুদ্ধে খেলেছিল জয়পুরে। শেষ দিকে ৫১ বলে ৬৮ রান প্রয়োজন ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। হাতে তখনও ১০ উইকেট। সেখান থেকে ১০ রানের অবাক হার। গত দু-ম্যাচ হেরে প্রবল চাপে রাজস্থান রয়্যালস। আজ তাদের সামনে জয়ের হ্য়াটট্রিক করে আসা চেন্নাই সুপার কিংস। পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসকে অ্যাওয়ে ম্য়াচে হারিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। হোম ম্য়াচে সিএসকের বিরুদ্ধে নানা কারণেই ব্যাকফুটে। জয়পুর গত ম্য়াচে হয়ে উঠেছিল রাজস্থান রয়্যালসের পরাজয়পুর। হারের হ্য়াটট্রিক এড়াতে মরিয়া সঞ্জু স্যামসনরা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রাজস্থান রয়্যালস বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ প্রিভিউ TV9Bangla Sports-এ।
চেন্নাই সুপার কিংস গত তিন ম্য়াচেই জিতেছে। তবে সবচেয়ে তৃপ্তির হয়তো ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জয়। ইডেন গার্ডেন্স নাকি চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়াম, বোঝা দায় হয়েছিল। গ্যালারিতে হলুদ জার্সির ভিড়। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখার আর্তি। শুধু এ দিক থেকেই নয়, পারফরম্য়ান্সেও ঝলমলে ছিল সিএসকে। টস হেরে প্রথমে ব্য়াট করে তারা। বোর্ডে তোলে ২৩৫ রান। এ বারের আইপিএলে এখনও অবধি সর্বাধিক স্কোর এটিই। এত বড় রানের পুঁজি নিয়ে বোলাররাও দারুণ পারফর্ম করেন। বিশাল জয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছিল সিএসকে। বোলিং হোক বা ব্যাটিং, দুই বিভাগেই অনবদ্য ছন্দে তারা। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, ডেভন কনওয়ে, শিবম দুবে এবং বিশেষ করে বলতে হয় অজিঙ্ক রাহানের কথা।
গত দুই ম্যাচে হার ছাড়াও ঘরের মাঠে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে আরও একটা চিন্তার বিষয় রয়েছে। সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামের পিচ এবং পরিস্থিতি। মন্থর পিচ। স্পিনারদের জন্য সহায়তা রয়েছে। তেমনই পেসাররা স্লোয়ার ব্য়বহার করতে পারলে শট খেলা আরও চাপের হয়ে দাঁড়ায়। গত ম্য়াচেও তার নমুনা দেখা গিয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংসের স্পিন বোলিং আক্রমণ অনবদ্য। রবীন্দ্র জাডেজা, মইন আলি, মহেশ থিকসানা জয়পুরের পিচে আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। তেমনই রাজস্থান শিবিরের ভরসা অভিজ্ঞ রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং যুজবেন্দ্র চাহাল। নজর থাকবে জাতীয় দলের দুই তারকা স্পিনার অশ্বিন বনাম জাডেজার পারফরম্য়ান্সে।