ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট টেবলে আপাতত তিনে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। তাদের কাছে সুযোগ ছিল দুইয়ে উঠে আসার। এ মরসুমে অ্যাওয়ে ম্যাচে চেন্নাইয়ের পারফরম্যান্স খুব ভালো হচ্ছে না। গত ম্যাচে অবশ্য ওয়াংখেড়েতেই জিতেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এ মরসুমে তাদের একমাত্র অ্যাওয়ে জয় সেটিই। লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারাতে পারলে পয়েন্ট টেবলে দুইয়ে উঠে আসত চেন্নাই। যদিও হল না। চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের জন্যই সমস্যায় পড়েন তাঁরা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরে গত বার থেকেই একটা অলিখিত নিয়ম রয়েছে, পরে ব্যাট করলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হবে শিবম দুবেকে। লখনউতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই। শিবম দুবে প্রথম একাদশেই ছিলেন। বোর্ডে বড় একটা রান তুলে বাড়তি একজন বোলার খেলাতে পারত চেন্নাই। যদিও পরিস্থিতি সঙ্গীন হওয়ায় ব্যাটিংয়েই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম ব্যবহার করতে হয়। সমীর রিজভি ইমপ্যাক্ট নেমে ভরসা দিতে পারেননি। টপ অর্ডারে অজিঙ্ক রাহানে, চারে নামা রবীন্দ্র জাডেজা এবং লোয়ার অর্ডারে মইন আলি ও ধোনির ক্যামিওতে ১৭৭ রানের টার্গেট দেয় লখনউকে।
ম্যাচ শেষে চেন্নাই অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড় বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে আমাদের ফিনিশিংটা দুর্দান্ত হয়েছে। তবে ১৪-১৫ ওভার অবধি আমরা ভালো খেলতে পারিনি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছি। আমাদের অন্তত ১০-১৫ রান কম ছিল। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মে বাড়তি ব্যাটারও নামিয়েছিলাম। পরের দিকে যেহেতু শিশিরের প্রভাব ছিল, বোর্ডে ১৮০-১৯০ রান থাকলে ভালো হত।’
বোলিং নিয়েও কিছুটা হতাশ ঋতুরাজ। তবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারে ব্যাটার নামাতে না হলে বোলিংয়ের সময় কিছু একটা করা যেত। বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে ঋতুরাজ বলছেন, ‘পাওয়ার প্লে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। পাওয়ার প্লে-তে উইকেট পেলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা যায়। এই ম্যাচ অতীত। আরও হোমওয়ার্ক করে পরবর্তী ম্যাচে নামতে হবে।’