কোচহীন ছিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। অবশেষে নতুন কোচ যোগ দিয়েছেন। সামনে ঘরের মাঠে জোড়া সিরিজ। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সঙ্গে দু-দলের বিরুদ্ধে একটি করে টেস্ট। দীর্ঘ ন’বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট খেলতে চলেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। শেষ বার যখন ঘরের মাঠে টেস্ট খেলেছিল, সেই দলের মাত্র দু-জন অর্থাৎ ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর ও ভাইস ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানা। সেই আঙ্গিকে বলাই যায়, পুরো দলটাই যেন নতুন। যদিও টেস্ট দুটির পাশাপাশি রয়েছে সাদা-বলের সিরিজ। কাল থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আর এই সিরিজ থেকে শুরু যাচ্ছে মিশন বিশ্বকাপও। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আগামী দু-বছর দুটি বিশ্বকাপ। ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি এবং ২০২৫ সালে রয়েছে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। মেয়েদের ক্রিকেটে যা বড় আক্ষেপের জায়গা। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অনবদ্য পারফরম্যান্স ভারতের। কমনওয়েলথ গেমসে রুপো, এশিয়ান গেমসে সোনার পদকও জিতেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। কিন্তু বিশ্বকাপ? টি-টোয়েন্টি হোক বা ওয়ান ডে ফরম্যাট, বেশ কয়েক বার সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে উঠলেও ট্রফির দেখা মেলেনি। আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতীয় ক্রিকেটের সেরা সাফল্য বলা যেতে পারে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়।
তুষার আরোঠে, রমেশ পওয়ার, ডব্লিউভি রমন, ফের রমেশ পওয়ার, হৃষিকেশ কানিতকার, নুসিন আল কাদির, হৃষিকেশ কানিতকার। প্রথম তিনজন ছিলেন হেড কোচ। কানিতকার ব্যাটিং কোচ ছিলেন, পরবর্তীতে হেড কোচের দায়িত্ব সামলেছেন। নুসিন আল কাদিরের কোচিংয়েই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়। এ বার দায়িত্ব নিয়েছেন অমোল মুজুমদার। কোচ হওয়ার তাঁর প্রথম সিরিজ। টানা হতাশার পর অমোলই ছিলেন বোর্ডের প্রথম পছন্দ। তাঁর প্রোফাইল ঈর্ষণীয়। দক্ষতা বিচার হবে এই সিরিজ থেকেই।
কোচ যেমন নতুন, ভারতীয় স্কোয়াডে একঝাঁক নতুন মুখ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাবনা থেকেই তরুণ তুর্কিদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বাংলার পেসার তিতাস সাধু, বাঁ হাতি স্পিনার সাইকা ইসাক, উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে নজরকাড়া আরসিবির শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। তালিকা বাড়বেই। ঘরোয়া ক্রিকেট এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নজরকাড়া এই তরুণ তুর্কিরাই এখন বিশ্বকাপের পথে ভারতের স্বপ্ন।