শেষ উইকেট। একলা লড়াই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে জেতানো ক্যাপ্টেন নিকি প্রসাদের। শেষ ওভারে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের। কিন্তু ন্যাট সিবার ব্রান্টের প্রথম ডেলিভারিতেই সিঙ্গল। উল্টোদিকে চারনী। শেষ উইকেট হওয়ায় অ্যাডভান্টেজ ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সই। তিন বছর আগে এই মাঠেই উদ্বোধনী উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। উইনিং শট মেরেছিলেন ন্যাট সিবার ব্রান্ট। এ বার তাঁর হাতেই ছিল শেষ ওভার। তিনি ডিফেন্ড করবেন, এমনটাই প্রত্যাশিত। সেটাই করলেন ন্যাট সিবার ব্রান্ট। শেষ অবধি ৮ রানে জয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দু-বার ফাইনালে উঠে, দু-বারই দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মুম্বই।
দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে এ দিন দুর্দান্ত সুযোগ ছিল। টসও জিতেছিল তারা। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপ্টেন মেগ ল্যানিং। মারিজান কাপের সৌজন্যে এই সিদ্ধান্ত সঠিক হয়ে দাঁড়ায়। যস্তিকা ভাটিয়ার পাশাপাশি বিধ্বংসী ফর্মে থাকা মুম্বই ওপেনার হেইলি ম্যাথিউজকে ফেরান। মাত্র ১৪ রানেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দারুণ জায়গায় ছিল দিল্লি। এরপরই ক্যাপ্টেন্স নক হরমনপ্রীত কৌরের। স্লগ ওভারে আবারও বোলাররা ম্যাচে ফেরায় দিল্লিকে। শেষ অবধি ১৫০ রানের টার্গেট সেট করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
ফাইনালের মঞ্চ হলেও ১৫০ রানের টার্গেট খুব বড় বলা যায় না। দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটিং বিভাগ অবশ্য শুরুটাই ভালো করতে পারেনি। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ব্যাটিংয়েও ভরসা দেন মারিজান কাপ। ২৬ বলে ৪০ রান করেন। কিন্তু নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকায় শেষ রক্ষা হয়নি দিল্লির। মুম্বই বোলারদের মধ্যে ন্যাট সিবার ব্রান্ট ৩ উইকেট নেন। অ্যামেলিয়া কের নেন দুটি উইকেট।