গুয়াহাটি : রবীন্দ্র জাডেজার সময়ও কার্যত একই কথা বলেছিলেন। এ বার জসপ্রীত বুমরার ক্ষেত্রেও। ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) অবশ্য আশা ছাড়ছেন না। বোর্ডের সূত্র বলছে, টি ২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup) খেলতে পারবেন না জসপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। বোর্ডের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, অন্তত ছ’মাস সময় লাগবে বুমরার ফিট হয়ে উঠতে। রাহুল দ্রাবিড় অবশ্য এখনও আশাবাদী, বিশ্বকাপে পাওয়া যাবে বুমরাকে। চোটের কারণে এশিয়া কাপে পাওয়া যায়নি ভারতীয় দলের এক নম্বর পেসার জসপ্রীত বুমরাকে। সে সময় জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব চলছিল তাঁর। অস্ট্রেলিয়র বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি ২০ সিরিজে ফিরলেও প্রথম ম্যাচে খেলানো হয়নি। বাকি দু ম্যাচ খেলেন বুমরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি ২০ তে খেলেননি। পিঠের পুরনো চোটের কারণে সিরিজ থেকেই ছিটকে যান বুমরা। পরিবর্ত নেওয়া হয়েছে মহম্মদ সিরাজকে।
কাল, রবিবার ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় টি ২০। গুয়াহাটিতে ম্যাচের আগে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। বুমরা প্রশ্নে দ্রাবিড় জানালেন, মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে না ভেবে বুমরার জন্য অপেক্ষা করবেন। দ্রাবিড় বলেন, ‘পরবর্তী ধাপের জন্য সরকারিভাবে বোর্ডের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি। এই মুহূর্তে এটুকু নিশ্চিত, চলতি সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছে বুমরা। আগামী দিনে কী হয় সেটা দেখব।’ বুমরার চোটের ক্ষেত্রে সেরে উঠতে অন্তত ছ’মাসের মতো লাগার কথা। যদিও দ্রাবিড় বলছেন, ‘সত্যি বলতে, আমি মেডিক্যাল রিপোর্ট খুঁটিয়ে পড়িনি। আমি বিশেষজ্ঞও নই। চিকিৎসকরাই জানিয়েছে, এই সিরিজে খেলতে পারবে না ও। ভবিষ্যতে কী হবে, সেটাও কিছুদিনের মধ্যেই জানতে পারব। যতক্ষণ না সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে গেছে, আমরা আশাবাদী।’ এশিয়া কাপে মাঝপথেই ছিটকে যান রবীন্দ্র জাডেজা। এরপর আসন্ন টি ২০ বিশ্বকাপ থেকেও। রাহুল দ্রাবিড় এশিয়া কাপের সময় মন্তব্য করেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করছেন না জাডেজা ছিটকে গিয়েছেন। হয়েছিল উল্টোটাই। জাডেজাকে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। টি ২০ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে দূর অস্ত, স্ট্যান্ড বাইও রাখা যায়নি। বুমরার ক্ষেত্রেও আশার কথা শোনালেও, সেই সম্ভাবনা কতটা, সেই জবাব দ্রাবিড়ের কাছেও নেই।
জুলাইতে ইংল্যান্ড সফরের পর থেকেই মাঠের বাইরে বুমরা। চোট থেকে ফিরে মাত্র দু ম্যাচ খেলেই ফের চোট। তাঁকে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে পাঠানো হয়েছে রিহ্যাবের জন্য। স্বাভাবিকভাবেই ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আইপিএলে ১৪টি ম্যাচ খেলেছেন। অথচ তারপর জাতীয় দলের হয়ে মাত্র ছ’টি ম্যাচ খেলেছেন বুমরা। হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলছেন, ‘আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি প্লেয়ারদের ফিট রাখতে। সবকিছু নিখুঁত হবে তা নয়। এনটা হতেই পারে। চোট খেলারই অংশ। প্রতিটা দলের, প্লেয়ারের ক্ষেত্রেই এমনটা হতে পারে। বড় প্রতিযোগিতার আগে এমনটা পরিকল্পনায় ধাক্কা লাগারই কথা। প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে চেষ্টা করছে সবকিছু ঠিক রাখার।’