মুম্বই : ঘরোয়া ক্রিকেটে অতি পরিচিত নাম। মেয়েদের মিনি আইপিএল অর্থাৎ চ্যালেঞ্জার্সেও খেলেছিলেন। কিন্তু চোটের কারণে সাময়িক হারিয়ে গিয়েছিলেন সাইকা ইসাক। বাংলার এই বাঁ হাতি পেসারকে নিয়ে নিলামে হইচই হতে পারে, এমনটাই মনে করা হয়েছিল। তেমন কিছুই হয়নি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাঁকে বেস প্রাইসে নিয়েছিল। যা অবাক করার মতোই। আসলে বাকি দলগুলির হয়তো সাইকাকে নিয়ে ‘হোমওয়ার্ক’ ছিল না। মুম্বইয়ের বোলিং কোচ ও মেন্টর ঝুলন গোস্বামী তাঁকে ভালো ভাবেই চেনেন। মুম্বই অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরও বাংলার এই বাঁ হাতি স্পিনারের দক্ষতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। উদ্বোধনী ম্য়াচে টসের সময়ই সাইকার ওপর ভরসার কথা জানিয়েছিলেন হরমন। তাঁর ধারনা যে ভুল নয়, প্রতি ম্য়াচেই প্রমাণ করছেন সাইকা। তিন ম্য়াচে ৯ উইকেট নিয়ে পার্পল ক্য়াপ তাঁর দখলেই। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্য়াচের সেরার পুরস্কারও জিতলেন। ম্য়াচ শেষে সাইকা ও অধিনায়ক হরমনপ্রীত যা বললেন, বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
আরও একটা জয়। তাতে বড় অবদান সাইকা ইসাকের। পাওয়ার প্লে-তে তাঁর বোলিংই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। ম্য়াচের সেরার পুরস্কার জিতে সাইকা ইসাক বলছেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। আমার কোচেরা সবসময় আমাকে সমর্থন করে গিয়েছে, পাশে থেকেছে, সে কারণেই আমি ভালো পারফর্ম করতে পারছি। দলে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা রয়েছে। আমি ম্যাচ ধরে এবং প্রত্যেকটা ডেলিভারি নিয়ে ভাবি। আশা করি এ ভাবেই পারফর্ম করতে পারব।’ পার্পল ক্য়াপের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। এতে কি বাড়তি চাপ রয়েছে? সাইকার কথায়, ‘আমি কোনও চাপ অনুভব করছি না। আমি শুধু পারফর্ম করে যেতে চাই। তাহলে সেটা আমার দখলেই থাকবে।’
সাইকা ছাড়াও ইসি ওং, হেইলি ম্যাথুজ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন দিল্লির বিরুদ্ধে। জয়ের হ্যাটট্রিকের পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর বলছেন, ‘আমাদের বোলাররা অনবদ্য পারফর্ম করেছে। ওরা নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থেকেছে। আমার কাজ অনেক সহজ করে দিচ্ছে ওরা। যে কোনও পরিস্থিতিতে দায়িত্ব দিতে প্রস্তুত। ব্রেক থ্রু-ও দিচ্ছে। দলে এত দক্ষ বোলিং বিকল্প থাকলে অধিনায়কের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। ফিল্ডিং অনুযায়ী যে ভাবে ওরা বোলিং করেছে, এই জয়ের কৃতিত্ব বোলারদের। গত ম্য়াচে আমাদের বোলিং কিছুটা খারাপ হয়েছিল। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই ম্যাচে দারুণ প্রত্যাবর্তন করল ওরা।’