মুম্বই : ঠিক যেন ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ওডিআই ম্য়াচের মতো। সিরিজের প্রথম ম্য়াচে জিতেছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্য়াচে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১১ ওভারের মধ্যেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ৫০ ওভারের ম্য়াচ বলে মনেই হচ্ছিল না। অজিরা ওভার প্রতি ১১ রান করে তোলে বিশাখাপত্তনমে। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে প্রথম লেগে দিল্লি ক্য়াপিটালসকে ৮ উইকেটের বড় ব্য়বধানে হারিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এ দিনই একই ভাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে বদলা দিল দিল্লি ক্য়াপিটালস। টসে জিতে ফিল্ডিং নেন দিল্লি অধিনায়ক মেগ ল্য়ানিং। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে পরপর বলে যস্তিকা ভাটিয়া এবং ন্যাট সিবারের উইকেট নিয়ে মুম্বই শিবিরকে বড় ধাক্কা দেন মারিজানে কাপ। যেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি মুম্বই। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১০৯-৮ স্কোরেই আটকে রাখে মুম্বইকে। এরপর শেফালি-মেগের বিধ্বংসী শুরু। শেফালি আউট হলেও ক্রিজে আসা অ্যালিস ক্য়াপসি-মেগ ল্যানিং জুটি ঝড় থামাননি। মাত্র ৯ ওভারের মধ্যেই ৯ উইকেটের বিশাল ব্য়বধানে জয়। ম্য়াচের পর কী বলছেন দু-দলের অধিনায়ক? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
টানা পাঁচ ম্য়াচে জয়ের স্বাদ থেকে এ বার পরপর দু-ম্য়াচে হার। মুম্বই অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর বলছেন, ‘আমাদের অন্তত ৪৫ রান কম ছিল। তবে আমাদের বোলিং লাইন আপ যেমন শক্তিশালী, শুরুর দিকে ব্রেক থ্রু প্রত্য়াশা করেছিলাম। শিশিরের প্রভাব ছিল। নিজেদের পরিকল্পনা মাফিক বোলিংও করতে পারিনি। জয়ের রাস্তায় ফিরতে নিঃসন্দেহে ব্যাটিং বিভাগকে রানে ফিরতে হবে। আরও বড় স্কোর গড়তে হবে। শেষ দুই ম্য়াচে কী কী ভুল ত্রুটি হয়েছে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের দলে দক্ষ প্লেয়ারের অভাব নেই। এই দুটো হার যেন আমাদের বড় শিক্ষা দিল। দলের মধ্যে যাতে কোনও মতেই আত্মতুষ্টি ভর না করে, এই হার যেন সেই সতর্কবার্তাই দিল।’
বদলার ম্য়াচ জেতাই শুধু নয়। মুম্বইয়ের সঙ্গে পয়েন্ট সমানও করল দিল্লি ক্য়াপিটালস। মঙ্গলবার গ্রুপের শেষ ম্য়াচে এমনই একটা জয় পেলে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারবে দিল্লি ক্য়াপিটালস। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থাকা দল সরাসরি ফাইনাল খেলবে। মুম্বইকে হারিয়ে দিল্লি অধিনায়ক মেগ ল্যানিং বলছেন, ‘দারুণ ম্য়াচ। খুব কম ভুল হয়েছে আমাদের তরফে। বোলাররা মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিল। ব্য়াটিং বিভাগ বাকি দায়িত্ব পালন করেছে। শেষ ম্য়াচেও এই ধারা বজায় রাখতে চাই।’