মুম্বই : আরও একটা হার। হতাশা পিছু ছাড়ছে না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। ব্য়াটিং হোক কিংবা বোলিং কোনও বিভাগই ভরসা দিতে পারছে না। সবচেয়ে বেশি হতাশার অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানার ফর্ম। গত তিন ম্য়াচে স্মৃতির শুরুটা অন্তত ভালো হয়েছিল। স্পিনারদের বিরুদ্ধে অস্বস্তিতে পড়ছিলেন। চাপের মুখে গিয়ার শিফ্ট করতে গিয়ে আউট হয়েছেন। এই ম্যাচে ইনিংসের শুরুটাই ঠিক করতে পারলেন না ভারতের তারকা ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। বাঁ হাতি স্পিনার রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়ের বোলিংয়ে কার্যত উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন। এলিস পেরি, সোফি ডিভাইন ব্য়াটিংয়ে কিছুটা অবদান রাখলেন। মিডল ও লোয়ার অর্ডারে ব্য়র্থতা। মাত্র ১৩৮ রান নিয়ে বোলারদের থেকেও কোনও লড়াই দেখা যায়নি। ওপেনিং জুটিই ম্য়াচ জেতায় ইউপি ওয়ারিয়র্সকে। আরসিবির টানা হারের দায় নিলেন অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানাই। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ম্য়াচ শেষে হতাশা চেপে রাখতে পারেননি স্মৃতি মান্ধানা। বলেন, ‘শেষ চার ম্য়াচেই হতাশাজনক পারফরম্য়ান্স। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আমরা ভালো শুরু করেও দ্রুত কয়েক উইকেট হারিয়েছি। এই হারের দায় আমারও। একজন টপ অর্ডার ব্য়াটার হিসেবে, আমাদের প্রত্যেকেরই রান করতে হবে। বোর্ডে বড় রান না তুলতে পারলে বোলাররাই বা কী করবে।’ মাঝের ওভারে কী সমস্যা হচ্ছে? পরিকল্পনাই বা কী! আরসিবি অধিনায়কের কথায়, ‘এর আগেও এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। পরিকল্পনা ছিল মাঝের ওভারে ৭-৮ রান করে তোলার চেষ্টা করব। এই পরিকল্পনা সফল হয়নি।’
এই ম্যাচে বেশ কিছু পরিবর্তন করেছিলেন স্মৃতি মান্ধানা। কোনও পরিকল্পনাই খাটেনি। আরসিবি অধিনায়ক আরও যোগ করলেন, ‘আমাদের দলে কোনও চোট নেই। একটা ব্যালান্সড টিম গড়ার চেষ্টা করছি যারা আমাদের ম্যাচ জেতাবে। প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলার, উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। আগামীতেও করে যাব। এই একটা সপ্তাহ আমাদের খুবই খারাপ কাটল। আরও অনেক বিষয়ে পরিশ্রম করতে হবে।’