কলকাতা: অমরনাথ ভাইদের দেখেছে ভারতীয় ক্রিকেট। দেখেছে পাঠান ভাইদেরও। সম্প্রতি পান্ডিয়া ভাইরা খেলেছেন ভারতীয় টিমের হয়ে। এ বার কি জয়সওয়াল ভাইদের সময়? অবাক হওয়ার কিছু নেই। যশস্বীর মতো ক্রিকেট খেলেন তাঁর দাদাও। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ বলে ধরা হচ্ছে যশস্বীকে। বাঁ হাতি ওপেনার নিজেকে মেলেও ধরছেন। আইপিএলেও যশস্বী যথেষ্ট সফল। তাঁর টিম রাজস্থান ব়য়্যালস ১৮ কোটি টাকায় রিটেন করেছে বাঁ হাতি ওপেনারকে। সেই যশস্বীর দাদাই এ বার নিজেকে চেনাতে শুরু করলেন ভারতীয় ক্রিকেটে।
যশস্বীর থেকে ৪ বছরের বড় তেজস্বী। তিনিও বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। তবে ওপেন করেন না। মিডল অর্ডারেই ব্যাট করেন। বলও করেন। তবে ভাইয়ের মতো লেগস্পিনার নন, মিডিয়াম পেসার। সেই তেজস্বী এ বার খবরে। রঞ্জি খেলতে নেমে হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। যা ঘরোয়া ক্রিকেটে এই প্রথম। ত্রিপুরার হয়ে এই মরসুমেই রঞ্জি অভিষেক হয়েছে তেজস্বীর। প্রথম ম্য়াচে মেঘালয়ের বিরুদ্ধে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩ করেছিলেন। পরের ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৪ করে আউট হন। বরোদার বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে সাফল্য পেলেন।
৬০ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তেজস্বী ঘরোয়া ক্রিকেটে অবশ্য প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদও পেতে পারতেন। তা হল না লেগস্পিনার শিবালিক শর্মার বলে আউট হওয়ায়। ৮২ করে ফেরেন তিনি। ২৭ বছরের তেজস্বীর ভারতীয় টিমে ঢোকার স্বপ্ন এতে পূরণ হবে না। তবে ভাইয়ের মতো ইন্ডিয়া টিমের জার্সি পরতে হলে তাঁকেও ধারাবাহিক ভাবে রান করতে হবে। বিশেষ করে মিডল অর্ডারে নিজেকে অনেক বেশি ধারাবাহিক করতে না পারলে জাতীয় দলের দরজা খুলবে না, তা ভালোই জানেন তেজস্বী।