কলকাতা: ফিরে আসা কি সম্ভব? তা কি তলিয়েই যাবেন তাঁরা? একে ব্যাটে রান নেই, তার উপর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজ হার। সব মিলিয়ে ভারত তো বটেই, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার মতো তারকারাও প্রবল চাপে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসা কি সম্ভব? প্রায় ৩০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় ৫ টেস্টের সিরিজ খেলবে ভারত। আগের দুটো সিরিজ অজিদের দেশে জিতেছে ভারতীয় টিম। তাও আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারছেন না তাঁরা। বিরাট-রোহিতের উপর রয়েছে প্রবল চাপ। বিশেষজ্ঞরা বলতে শুরু করেছেন, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের এই সিরিজে সাফল্যের সম্ভাবনা নেই। ঠিক তখনই বিরাট-রোহিতের জন্য নতুন মন্ত্র বাতলে দিলেন গ্রেগ চ্যাপেল। কী বললেন ভারতের প্রাক্তন কোচ?
গুরু গ্রেগ ২০০৫ সালের একটা ঘটনা তুলে ধরেছেন। সচিন তেন্ডুলকর তখন রান পাচ্ছিলেন না। বয়সও বাড়ছিল। সচিন নিজেকে নিয়ে বেশ বিব্রত ছিলেন। সে সময় তাঁর কথা হয়েছিল গ্রেগের সঙ্গে। মাস্টারব্লাস্টারকে কী বলেছিলেন গ্রেগ? সিডনি মর্নিং হেরল্ডে নিজের কলামে গ্রেগ লিখেছেন, ‘আমি সচিনকে এটা বুঝিয়েছিলাম যে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রান পেতে, ভালো ব্যাট করতে মানসিক ভাবে নিজেকে আরও তুঙ্গে রাখতে হবে। ওকে বলি, ব্যাটিং করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে, কারণ তুমি ভাবতে শুরু করে দিয়েছ, এই বয়সে এসে রান করাটা কঠিন। সেই সঙ্গে এটাও মনে হচ্ছে, সর্বোচ্চ লেভেলে মানসিক ভাবে নিজেকে ধরে রেখে সাফল্য পাওয়া কঠিন। ব্যাপারটা এমন নয় যে, চোখের সমস্যা, রিফ্লেক্স কমছে। আসল জায়গাটা হল ফোকাস, সেটার কারণেই ধরে রাখা মুশকিল হচ্ছে। কেউ যখন তরুণ থাকে, তখন কিন্তু যাবতীয় ফোকাস থাকে রান করার দিকে।’
গ্রেগের এই টোটকাই কাজে লাগতে পারে বিরাট-রোহিতের। বয়স বেড়েছে দু’জনেরই। কিন্তু সচিনের অভিজ্ঞতা যদি কাজে লাগাতে পারেন, তা হলে অনেক কিছুই পাল্টাতে পারে। গ্রেগ বলেওছেন, ‘যে কোনও তরুণ আর কিছু ভাবে না। পিচ বা কন্ডিশন কেমন, ম্য়াচের পরিস্থিতি কী, এ সবও দেখে না। ফোকাস থাকে রান করার দিকে।’ তরুণ ক্রিকেটারের মতোই কি সব ভাবনা পিছনে ফেলে এগনো উচিত বিরাট-রোহিতের? তা কি আদৌ সম্ভব হবে?