Image Credit source: PTI, FILE-ICC
সদ্য শেষ হয়েছে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকায় বসেছিল এ বারের যুব বিশ্বকাপের আসর। ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। টানা পাঁচ বার ফাইনালে উঠেছিল ভারত। সব মিলিয়ে নবম ফাইনাল। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন ভারত। এ বার অবশ্য রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার। প্রতিটা বিশ্বকাপেই নতুন তারকার জন্ম হয়। এ বারের বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ হাতি পেসার কোয়েনা মাপাকা। আর কারা জিতেছেন এই পুরস্কার? (যুব বিশ্বকাপের প্রথম দুই সংস্করণে এই পুরস্কার ছিল না)। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
যুবরাজ সিং থেকে কোয়েনা মাপাকা, যুব বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরার তালিকা
- য়ুবরাজ সিং- ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ২০০০ সালে অনূর্ধ্ব বিশ্বকাপ খেলেছিলেন। মহম্মদ কাইফের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। টুর্নামেন্টে ২০৭ রান করেছিলেন যুবি। এখানেই শেষ নয়। একডজন উইকেটও নিয়েছিলেন যুবি।
- টাটেন্ডা তাইবু- জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক তাইবু ২০০২ সালে যুব বিশ্বকাপ খেলেছেন। নিউজিল্যান্ডে হয়েছিল সেই বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচে ২৫০ রান করেছিলেন তাইবু। এই কিপার-ব্যাটার বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে বোলিংও করতেন। যুব বিশ্বকাপে এক ডজন উইকেটও নিয়েছিলেন।
- শিখর ধাওয়ান-আইসিসি টুর্নামেন্টে বরাবরই সফল ভারতের এই ওপেনার। ২০০৪ সালে যুব বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে করেছিলেন ৫০৫ রান! সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনটি।
- চেতেশ্বর পূজারা- সিনিয়র স্তরে ‘টেস্ট’ স্পেশালিস্টের তকমা জুড়েছিল পূজারার নামের সঙ্গে। ২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে তিনিই হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা। ফাইনালে রানের খাতা খুলতে পারেননি। সব মিলিয়ে ৬ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফসেঞ্চুরি সহ ৩৪৯ রান করেছিলেন পূজারা।
- টিম সাউদি- ২০০৮ বিশ্বকাপে যেন ‘প্রথা’ ভেঙেছিল। এই অবধি মূলত ব্য়াটার কিংবা অলরাউন্ডাররাই টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন কিউয়ি পেসার টিম সাউদি। পাঁচ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন। ইকোনমি মাত্র ২.৫২!
- ডমিনিক হেনড্রিক্স- ২০১০ সালের যুব বিশ্বকাপে সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন। বাঁ হাতি টপ অর্ডার ব্যাটার ডমিনিক ছয় ম্যাচে করেছিলেন ৩৯১ রান। একটি সেঞ্চুরি এবং তিনটি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন।
- উইল বশিষ্ট-২০১২ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার। ৬ ইনিংসে ২৭৬ রান করেছিলেন। এর মধ্যে মাত্র এক ইনিংসেই আউট হয়েছিলেন। বাকি পাঁচ ইনিংসেই অপরাজিত।
- এইডেন মার্কর্যাম-এই প্রোটিয়া তারকা ২০১৪ সালের যুব বিশ্বকাপে সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন। ৬ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ ৩৭০ রান। দুটো সেঞ্চুরিও করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই সেই বিশ্বকাপ খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
- মেহদি হাসান মিরাজ- বাংলাদেশের স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার মিরাজ ঘরের মাঠে ২০১৬ সালের যুব বিশ্বকাপে সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন। ৬ ম্যাচে ২৪২ রান করেছিলেন মিরাজ। আধডজন উইকেটও নিয়েছিলেন।
- শুভমন গিল- ২০১৮ সালে যুব বিশ্বকাপে সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিন্স শুভমন গিল। চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল ভারত। ৬ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি এবং তিনটি হাফসেঞ্চুরি সহ ৩৭২ রান করেছিলেন শুভমন।
- যশস্বী জয়সওয়াল-ভারতের এই তরুণ ওপেনার কতটা আগ্রাসী অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরেই তা টের পেয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। ২০২০ সালের যুব বিশ্বকাপে ৪০০ রান করেছিলেন এই বাঁ হাতি ওপেনার। বর্তমানে সিনিয়র দলের হয়েও নজর কাড়ছেন যশস্বী।
- ডিওয়াল্ড ব্রেভিস-দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে বেবি এবির উত্থান হয়েছিল ২০২২ সালের যুব বিশ্বকাপে। ক্যারিবিয়ানে ৬ ইনিংসে ৫০৬ রান করেছিলেন ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড ছিল শিখর ধাওয়ানের (৫০৫)। সেটি ভাঙেন ব্রেভিস। দুটি সেঞ্চুরি, তিনটি হাফসেঞ্চুরির পাশাপাশি পার্টটাইম লেগস্পিনে সাত উইকেটও নিয়েছিলেন। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জেতেন ব্রেভিসই।
- কোয়েনা মাপাকা-এ বারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে বিদায় নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে টুর্নামেন্টে নজর কাড়েন বাঁ হাতি পেসার মাপাকা। এই বিশ্বকাপে ২১ উইকেট নিয়েছেন। যুব বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে এক সংস্করণে তিন ম্যাচে ফাইফার কোয়েনার। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও তাঁর ঝুলিতেই। ফাইনালে উঠলে হয়তো এক সংস্করণে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ডও গড়তে পারতেন। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের এনামূল হক জুনিয়র ২২ উইকেট নিয়েছিলেন।