রাত পোহালেই আজ ইউরো (EURO) অভিযান। ইতালির (Italy) প্রতিপক্ষ তুরস্ক (Turkey)। এ বারের ইউরো আজুরিদের কাছে অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং। বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের জায়গা পুনরুদ্ধারের পালা। গত বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ইতালি। সেই ঘা এখনও দগদগে বোনুচ্চি, কিয়েল্লিনিদের। এই ইতালি পাল্টে ফেলেছে নিজেদের। অনেক ক্ষীপ্র, জেদি। কাতানেচ্চিও স্টাইল থেকে বেরিয়ে এসেছে আজুরিরা। জমাট রক্ষণের পাশাপাশি পাল্টা আক্রমণ করতে জানে এই ইতালি। ২৭ ম্যাচ অপরাজিত রবার্তো মানচিনির দল। ইউরোর বাছাই পর্বে ১০টি ম্যাচই জিতেছিলেন ইম্মোবাইল, বোনুচ্চিরা।
তুরস্কের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ইতালির ফুটবলাররা। তুরস্কের বিরুদ্ধে এখনও অপরাজিত ইতালি। এখনও পর্যন্ত ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে ইতালি ও তুরস্ক। তার মধ্যে ইতালি জিতেছে ৮ বার, ড্র হয়েছে ৩ বার। ইউরোয় দুই দলের শেষ সাক্ষাত্ ২০০০ সালে। শেষ বারের লড়াইয়ে ইতালি জেতে ২-১ গোলে।
ইতালির দলে তারকার ছড়াছড়ি। অভিজ্ঞ কিয়েলিনি, বোনুচ্চিরা তো রক্ষণে আছেনই। তুরস্কে সে ভাবে হেভিওয়েট ফুটবলার না থাকলেও নজর থাকবে তাঁদের দিকেও।
নজর কাড়বেন যাঁরা:-
ইতালি – ১. ইম্মোবাইল (পজিশন- ফরোয়ার্ড) ২. মার্কো ভেরাত্তি (পজিশন- মিডফিল্ডার)
তুরস্ক- ১. জেকি চেলিক (পজিশন- ডিফেন্ডার)
ফ্লোরেঞ্জি, বোনুচ্চি, কিয়েল্লিনিকে রক্ষণে রেখেই দল সাজাচ্ছেন মানচিনি। মাঝমাঠে ভরসা লোকাতেল্লি, ভেরাত্তিরা। আক্রমণে ইম্মোবাইল-ইনসিগনে জুটি। তুরস্কের রক্ষণে চেলিক, ডেমিরাল জুটিই দলের স্তম্ভ। ইউরোর বাছাই পর্বে ১০ ম্যাচে মাত্র ৩ গোল হজম করেছে তুরস্কের রক্ষণভাগ। মাঝমাঠে সোয়ুনসু আর ইয়োকোসলু, আক্রমণে তুরস্কের ভরসা চেঙ্গিজ আন্ডার।
দুই প্রতিপক্ষ মাঠে নামার আগে মাঠের বাইরেও থাকছে ঠাণ্ডা লড়াই। সম্প্রতি দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক চরমে পৌঁছেছে। তাই কে জেতে, তা নিয়ে তীব্র উত্কন্ঠা থাকবে দুই দেশেই।
আরও পড়ুন: ইউরো কাপে রোনাল্ডোর সামনে যে ৫টি রেকর্ড