U-17 Women’s World Cup 2022: মেয়েদের বিশ্বকাপ দেখতে স্টেডিয়ামে লক্ষাধিক স্কুল পড়ুয়া
শিক্ষামন্ত্রক এবং আয়োজক শহরের যৌথ উদ্যোগে স্কুল পড়ুয়াদের স্টেডিয়ামমুখী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য রয়েছে আয়োজক শহরগুলির মোট ১ লাখ ২০ হাজার পড়ুয়া যাতে অনূর্ধ্ব ১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপ চাক্ষুস করতে পারে।

ভুবনেশ্বর: অনূর্ধ্ব ১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপের (U17 Women’s World Cup) প্রতিটি ম্যাচেই স্টেডিয়ামে দেখা গিয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের। স্কুলের ইউনিফর্ম, গলায় আইকার্ড ঝুলিয়ে স্টেডিয়ামে বসে ফুটবল উপভোগ করছে কচিকাঁচারা। ম্যাচে স্টেডিয়ামে একটা অংশ রিজার্ভ করে রাখা হচ্ছে শুধুমাত্র স্কুল পড়ুয়াদের জন্য। আগামী প্রজন্মকে ফুটবল তথা খেলাধুলোর প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এমন উদ্যোগের জুড়ি নেই। এই কচি বয়সে স্টেডিয়ামে বসে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখার অভিজ্ঞতা সারাজীবনের জন্য ভালো স্মৃতি হয়ে থাকবে। তাই শিক্ষামন্ত্রক এবং আয়োজক শহরের যৌথ উদ্যোগে স্কুল পড়ুয়াদের স্টেডিয়ামমুখী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য রয়েছে আয়োজক শহরগুলির মোট ১ লাখ ২০ হাজার পড়ুয়া যাতে অনূর্ধ্ব ১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপ চাক্ষুস করতে পারে।
ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ দেখেছে তিন হাজার পড়ুয়া। নবি মুম্বইয়ে সংখ্যাটা ছিল ৫০০০-৬০০০। বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি হচ্ছে ভুবনেশ্বর, গোয়া ও নবি মুম্বইয়ে। আশা করা হচ্ছে, দেশ-বিদেশের মেয়েদের ফুটবল দলকে সমর্থনের জন্য ফাইনাল ম্যাচ পর্যন্ত নির্ধারিত দর্শক সংখ্যা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। ভুবনেশ্বরে সোমবার খেলা হয়েছে ভারত বনাম ব্রাজিল এবং নাইজেরিয়া এবং চিনের মধ্যে। এই দুটি ম্যাচই ছিল শেষ। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে বড় সংখ্যায় ইউনিফর্ম পরিহিত স্কুল পড়ুয়াদের দেখা গিয়েছে এই দুটি ম্যাচে। । টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলি খেলা হবে গোয়া ও নবি মুম্বইয়ে। ফাইনাল ম্যাচ হওয়ার কথা ৩০ অক্টোবর।
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে ভারত। সোমবার ছিল ব্রাজিলের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচ। পরপর তিনটি ম্যাচে হার নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় হয়েছে ভারতের মেয়েদের। ভারত ছিটকে গেলেও বিশ্বকাপ চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ভারত থেকে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি কারা নিয়ে ফেরে সেটাই দেখার।





