কলকাতা: একটা প্রজন্ম, একটা যুগ, একটা দশক জুড়ে এক-একজন ফুটবলার দাপিয়ে খেলেন। আর তাঁদের ছটায় মুগ্ধ হয়ে থাকে বিশ্ব ফুটবল। শুধু মাঠ নয়, মাঠের বাইরেও যার প্রভাব কম থাকে না। পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেন, এমনকি সমাজেও ছাপ রেখে যান তাঁরা। সে সব কথা মাথায় রেখে ছেলে ও মেয়ে নির্বিশেষে এমন পঞ্চাশ জনের একটা তালিকা তৈরি করল ফোর-ফোর-টু ফুটবল ওয়েবসাইট। পেলে (Pele), মারাদোনা (Maradona) থেকে মেসি (Lionel Messi), রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)— কে নেই তাতে।
৫০ জনের তালিকায় একেবারে শেষে রয়েছেন জিনেদিন জিদান। ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবেও সফল তিনি। ব্রাজিলের রোনাল্ডো ৪০ নম্বরে। ৩৯ নম্বরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ৩৮-এ আছেন রোনাল্ডিনহো। ৩৬ নম্বরে জায়গা পেয়েছেন পেলে। মেসি রয়েছেন ৩০ নম্বরে। দিয়েগো মারাদোনা রয়েছেন ২৬ নম্বরে। গ্যারিঞ্চা, আলফ্রেদো দি স্তেফানো, জোহান ক্রুয়েফরা রয়েছেন যথাক্রমে ১৮, ১৩ ও ১২ নম্বরে।
প্রথম দশে যাঁরা জায়গা পেয়েছেন, তাঁদের নিয়ে অনেকেই হয়তো অবাক হতে পারেন। ১ নম্বরে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার ভিভ অ্যান্ডারসন। তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলার, যিনি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন। নটিংহ্যাম ফরেস্টের কিংবদন্তি ধরা হয় ডিফেন্ডারকে। ২ নম্বরে উরুগুয়ের হোসে আন্দ্রাদে। একদিকে তিনি ছিলেন কার্নিভাল মিউজিশিয়ান, অন্যদিকে আবার ট্যাঙ্গো ডান্সার। কিন্তু মাঠে তিনি ছিলেন অকল্পনীয় এক ফুটবলার। যাঁর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ টিম দিশাই খুঁজে পেতেন না। আধুনিক ফুটবলে জিদানে তাঁর ছায়া খুঁজে পাওয়া যায়। আন্দ্রেদার হাত ধরেই প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল উরুগুয়ে। তিনে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী টিমের মিডফিল্ডার ওসে আর্দিলেস। টটেনহ্যামের হয়ে যিনি দাপিয়ে খেলে গিয়েছেন একটা দশক।
৪ থেকে ৭-এ ইতালির ফ্রাঙ্কো বারেসি, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, ডেভিড বেকহ্যাম ও জর্জ বেস্ট। আট থেকে ১০-এ বেলজিয়ামের মিডিও জিন-মার্ক বোসম্যান, ফ্রান্সের এরিক কতোনা এবং আর্জেন্টিনার কিপার আমাদেও কারিজো। রেনে হিগুয়েতা, লুইস চিলেভার্টদের উত্তরসূরী ধরা হয় কারিজোকে। কাউন্টার অ্যাটাকের ক্ষেত্রে আধুনিক ফুটবলে কিপারদের যে ভূমিকা, তা শুরু করেছিবেন কারিজোই।