Qatar World Cup Kits: জাপানের অরিগ্যামি থেকে আর্জেন্টিনার লিঙ্গসমতা, তৈরি কাতার বিশ্বকাপের জার্সি
Qatar 2022: জাপানের জার্সিতে দেখা যাচ্ছে তাদের অরিগ্যামির ঐতিহ্য। আর আর্জেন্টিনার (Argentina) জার্সিতে ফুটে উঠেছে লিঙ্গসমতার বার্তা। অন্য দিকে, মেক্সিকোর জার্সিতে দেখা মিলবে তাদের অতীত ও ঐতিহ্যর চিত্র।
সুপ্রিয় ঘোষ
অপেক্ষা আর মাত্র কিছু দিনের। তারপরই কাতারে শুরু হতে চলেছে ফুটবল বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) । এরই মধ্যে অ্যাডিডাস ও পুমা বিভিন্ন জাতীয় দলের জার্সি প্রকাশ করে ফেলেছে। জাপানের জার্সিতে দেখা যাচ্ছে তাদের অরিগ্যামির ঐতিহ্য। আর আর্জেন্টিনার (Argentina) জার্সিতে ফুটে উঠেছে লিঙ্গসমতার বার্তা। অন্য দিকে, মেক্সিকোর জার্সিতে দেখা মিলবে তাদের অতীত ও ঐতিহ্যর চিত্র।
Folder unlocked! ? Ready for Qatar. ? Introducing the official @FIFAWorldCup national team kits
Hit the -link in bio- to get yours now.#adidasfootball #FIFAWorldCup pic.twitter.com/NjlmcReNTT
— adidas Football (@adidasfootball) August 29, 2022
মেক্সিকোর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, তাদের অ্যাওয়ে জার্সি সে দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যর কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। সাদার উপর লাল রঙয়ের ডিজাইন করা এই জার্সি মেক্সিকো পরবে সবুজ শর্টস ও বার্গেন্ডি রঙয়ের মোজার সঙ্গে। সে দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এই জার্সি সম্পর্কে বলেছে, এটি শুধুমাত্র জার্সি নয়, এটা জাদু, শক্তি ও কাব্য তৈরি একটি বর্ম। যদিও মেক্সিকোর হোম কিট চিরাচরিত সবুজ রঙয়েরই,যাতে রয়েছে পালক সহ সরীসৃপ-রূপী ভগবান কুয়েতজালকোটলের (Quetzalcóatl) ছবি। এই ছবি মানব প্রকৃতির দ্বৈত সত্ত্বার প্রতীক, যা প্রাক-হিসপ্যানিক যুগের সংস্কৃতি ছিল।
জার্মানির হোম কিটে সাদা জার্সির মাঝ বরাবর উপর থেকে নীচের দিকে একটি কালো চওড়া দাগ থাকবে। এই জার্সি জার্মানি ব্যবহৃত প্রথম জার্সির অনুপ্রেরণায় তৈরি, যা আজ থেকে প্রায় ১০৪ বছর আগে ১৯০৮ সালে পরেছিল তারা। জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানাচ্ছে, এই জার্সি সংক্ষেপে দলের একতাকে তুলে ধরে। এই জার্সির গলার কাছে ও হাতায় জার্মানির পতাকার তিনটে রঙও থাকছে। কালো শর্টস ও সাদা মোজার সঙ্গে এই জার্সি পরবে ২০১৪-এর বিশ্বজয়ীরা। তাদের অ্যাওয়ে জার্সি অবশ্য তৈরি হয়েছে কালো ও লাল রঙয়ের মিশ্রণে।
জাপানের নীল রঙয়ের হোম কিটে থাকছে সে দেশের ঐতিহ্যের অরিগ্যামির নকশা। কাগজ মুড়ে বিভিন্ন জিনিস বানানোর শিল্পকে অরিগ্যামি বলে। এই কিট তারা পরবে সাদা শর্টস ও নীল মোজার সঙ্গে। এই জার্সির মার্কেটিংও করা হচ্ছে জাপানের বিখ্যাত ‘ব্লু লক’ ও ‘জায়ান্ট কিলিং’ মাঙ্গা সিরিজের মাধ্যমে। কমিকসের সঙ্গে এই জার্সির ছবিও ছাপা হচ্ছে। যদিও সূর্যোদয়ের দেশের অ্যাওয়ে কিট তৈরি হয়েছে সাদা রঙের, যা তারা পরবে কালো শর্টস ও সাদা মোজার সঙ্গে।
স্পেনের অ্যাওয়ে জার্সিতে থাকবে ৪০ বছর আগে সে দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ছোঁয়া। হালকা নীল ও সাদা রঙের এই জার্সিতে থাকছে ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপের লোগোর ছোঁয়া। গাঢ় নীল শর্টস ও হালকা নীল মোজার সঙ্গে এই জার্সি পরবে ‘লা ফিউরিয়া রোজা’রা। যদিও তাদের হোম জার্সি হবে ঐতিহ্যমণ্ডিত গাঢ় লাল রঙয়ের। আর এই জার্সিতে থাকবে সে দেশের জাতীয় পতাকার রঙও।
মারাদোনার দেশের হোম কিট প্রতি বারের মতো এ বারও নীল-সাদা। চমক থাকছে আলবিসেলেস্তেদের অ্যাওয়ে জার্সিতে। গাঢ় নীল নয়, এবার তাদের অ্যাওয়ে জার্সি তৈরি হয়েছে বেগুনি রঙয়ের, যা লিঙ্গসমতার বার্তা দেবে গোটা বিশ্বকে। নতুন এই জার্সির উদ্বোধন করেন লিওনেল মেসি স্বয়ং। এই জার্সিতে থাকছে আর্জেন্টিনার ‘সোল দে মায়ো’র চিহ্নও।
পুমাও ইতিমধ্যে মরোক্কো, ঘানা, উরুগুয়ে ও সুইৎজারল্যান্ডের জার্সি প্রকাশ করেছে। কিন্তু এই চারটি জার্সি প্রকাশ হওয়ার পর একই রকম অ্যাওয়ে জার্সি বানানোর জন্য় সমালোচনা পড়তে হয়েছে পুমাকে। জার্সিতে মাঝে জাতীয় দল ও পুমার লোগোর নীচে বড় করে রয়েছে জার্সি নম্বর। এখনও অনেক দেশের জার্সি প্রকাশ বাকি রয়েছে। জার্সি প্রকাশ করেনি নাইকিও। এ বার দেখা যাক, অন্যান্য দেশগুলো জার্সি কতটা আকর্ষণীয় হয়।