দীর্ঘ ৮৩ দিন পর জয়ের স্বাদ। সাময়িক নয়তো! এই প্রশ্নই সমর্থকদের মধ্যেও। একটা আশা, একটু আশঙ্কা। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে আধডজন হারের পর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে আন্ডারডগ হিসেবেই নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচে পারো এফসির বিরুদ্ধে কোনওরকমে শেষ মুহূর্তে হার বাঁচানো কিছুটা অক্সিজেন দিয়েছিল। এরপর বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আজ সামনে নেজমাহ এফসি।
গ্রুপ এ-তে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে লেবাননের ক্লাব নেজমাহ এফসি। প্রথম দু-ম্যাচেই জিতেছে তারা। একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড ধরে রেখে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামছে নেজমাহ। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ম্যাচে শুধু যে পারো এফসিই প্রতিপক্ষ ছিল, তা নয়। ইস্টবেঙ্গলের কাছে প্রকৃত অর্থেই চ্যালেঞ্জ লিগ। ভুটানে খেলা। আবহাওয়া, উচ্চতা, কৃত্রিম ঘাস। প্রথম ম্যাচ ছিল বিকেলে। দ্বিতীয় ম্যাচ রাতে। আজ আবার বিকেলের ম্যাচ। সব পরিস্থিতির সঙ্গে অনেকটা মানিয়ে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেটাই হয়তো শক্তিশালী নেজমাহ এফসির বিরুদ্ধে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে ইস্টবেঙ্গলকে।
লাল-হলুদ শিবিরে আরও ইতিবাচক দিক দিমিত্রিয়স ডায়মান্টাকোস। এ মরসুমেই ইস্টবেঙ্গলে সই করেছিলেন। টিম ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর ধারাবাহিকতা ঢাকাই পড়ে গিয়েছিল। টানা তিন ম্যাচে গোলের পর অবশেষে গত ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। বসুন্ধরার বিরুদ্ধে মাত্র ৩৩ সেকেন্ডেই গোল করেছিলেন দিমিত্রিয়স। তেমনই তরুণ ডিফেন্ডার আনোয়ার আলিও গোল করেছেন বসুন্ধরার বিরুদ্ধে। বাকি দুটি গোল এসেছিল সৌভিক চক্রবর্তী এবং নন্দকুমারের সৌজন্যে।
এতদিন যেমন সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা গত ম্যাচে গোলেও পরিণত করেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে নেজমাহর বিরুদ্ধে কাজটা খুবই কঠিন। সরাসরি নকআউট নিশ্চিত করতে এই ম্যাচে জিততেই হবে ইস্টবেঙ্গলকে। হার কিংবা ড্রয়ে অঙ্ক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
নেজমাহ এফসি বনাম ইস্টবেঙ্গল, ভারতীয় সময় বিকেল ৩.৩০ থেকে