AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kalyan Chaubey: ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র কলকাতাকে কাজে লাগানোর ভাবনা নয়া সভাপতির

New AIFF President: ফেডারেশনের ৮৫ বছরের ইতিহাসে প্রথম বার কোনও প্রাক্তন ফুটবলার মসনদে বসলেন।

Kalyan Chaubey: ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র কলকাতাকে কাজে লাগানোর ভাবনা নয়া সভাপতির
নয়া প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়াImage Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2022 | 4:55 PM
Share

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

প্রথম দিন থেকেই এগিয়ে ছিলেন। ফলাফলও ঠিক তাই-ই হল। ফেডারেশন সভাপতির নির্বাচনে বাইচুং ভুটিয়াকে উড়িয়ে দিলেন কল্যাণ চৌবে। ফুটবল ময়দানে কল্যাণকে অনেকবারই গোল দিয়েছেন বাইচুং। ফেডারেশন নির্বাচনে পাহাড়ি বিছেকে দাঁড়াতেই দিলেন না বঙ্গতনয়। ৩৩-১ ভোটে বাইচুংকে হারিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) মসনদে কল্যাণ চৌবে (Kalyan Choubey)। ফেডারেশনের নির্বাচনে জমে উঠেছিল কল্যাণ-বাইচুং দ্বৈরথ। প্রশাসনিক কমিটির প্রস্তাবিত খসড়াকে পরে খারিজ করে দেওয়ায় বাতিল হয়ে যায় প্রাক্তন ফুটবলারদের ভোটাধিকার। আর ওখানেই অ্যাডভান্টেজ হয়ে যান কল্যাণ। গুজরাত ফুটবল সংস্থা থেকে নির্বাচনে লড়েন তিনি। একপ্রকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হতে চলেছিলেন ইস্ট-মোহনের প্রাক্তন গোলকিপার। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বাইচুং মনোনয়ন জমা দেওয়ায় ভোটাভুটিতেই নিষ্পত্তি হয়। ফেডারেশনের ৮৫ বছরের ইতিহাসে প্রথম বার কোনও প্রাক্তন ফুটবলার মসনদে বসলেন।

ফুটবল কেরিয়ার ছাড়ার পর রাজনৈতিক দলে যোগ দেন কল্যাণ চৌবে। রাজ্য বিজেপিতে সক্রিয় ভূমিকা ছিল কল্যাণের। বিধানসভা নির্বাচনে না জিতলেও, ফেডারেশন নির্বাচনে অবশ্য বাজিমাত বঙ্গতনয়ের। ফুটবলের উন্নতিতে এর আগেও এসেছিলেন তিনি। নিজস্ব ফুটবল অ্যাকাডেমিও গড়ে তোলেন কল্যাণ। এমনকি প্রাক্তন মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্রের (সম্পর্কে কল্যাণের শ্বশুরমশাই) দুঃসময়ে ক্লাবে স্পনসর আনার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন কল্যাণ চৌবে। যদিও শেষ পর্যন্ত নানা জটিলতায় ওই স্পনসর মোহনবাগানে আসেনি।

সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পর টিভি নাইন বাংলাকে সাক্ষাৎকারে কল্যাণ বলেন, ‘এটা দলগত সাফল্য। এখানে আসার জন্য আমাদের অনেক লড়াই করতে হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে ১৯ মাস মামলা চলার পর ফেডারেশনের নির্বাচন হয়েছে। ৩৪টি সদস্যের মধ্যে ৩৩টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ায় নিঃসন্দেহে খুশি। আমাদের যে নতুন কমিটি ক্ষমতায় এসেছে, আশা করি তা ভারতীয় ফুটবলে নতুন দিশা দেখাবে।’

বাইচুংকে হারিয়ে ফেডারেশনের মসনদে বসার মুহূর্ত কি আরও স্পেশাল? কল্যাণের উত্তর, ‘কাউকেই হারানো কোনও স্পেশাল। যে কোনও যুদ্ধেই প্রতিপক্ষ সমান। ম্যাচও জিততে হয়, যুদ্ধও জিততে হয়, নির্বাচনও জিততে হয়। প্রতিপক্ষের কোনও ভিন্নতা নেই। সবার সমর্থন পাওয়ায় নিঃসন্দেহে ভালো লেগেছে।’

অক্টোবরেই দেশের মাটিতে ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপ। কঠিন চ্যালেঞ্জ। ফুটবলের মক্কা কলকাতাকেই বা কি ভাবে ব্যবহার করবেন? ফেডারেশনের নতুন সভাপতি বললেন, ‘ফুটবলের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র কলকাতা। অবশ্যই তাকে কাজে লাগাব। ফেডারেশনের নতুন সচিব হতে চলেছেন সাজি প্রভাকরণ। ফিফা ও এএফসিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। ভারতীয় ফুটবল পরিকল্পনার জন্য ১০০ দিনের মধ্যেই আমাদের নতুন টিম বৈঠকে বসবে। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে ভারতীয় ফুটবলের রূপরেখাও তৈরি করবে। এখনই অতিরঞ্জিত করে কিছু বলব না। আকাশকুসুম স্বপ্নও দেখাব না। তবে সঠিক বাস্তব পরিকল্পনার সঙ্গে আমাদের দেশের পরিকাঠামো, জলবায়ু অনুযায়ী ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইব।’

স্বামী কল্যাণ চৌবের সাফল্যে দারুণ খুশি স্ত্রী সোহিনী মিত্র চৌবে। টিভি নাইন বাংলাকে সাক্ষাৎকারে সোহিনী বললেন, ‘যতদিন ওকে ফুটবল খেলতে দেখেছি, নিঃসন্দেহে নিজের একশো শতাংশ দিয়েছে। ফেডারেশন সভাপতি হয়েও নিজেকে সেই ভাবেই মেলে ধরবে এবং বিশ্বের দরবারে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে নিজেকে নিয়োজিত করবে এবং সেরাটা উজাড় করে দেবে।’ ফুটবল ছাড়ার পর রাজনীতিতে ইনিংস শুরু করেন কল্যাণ। সেখানে সফল না হলেও, ফুটবলের প্রশাসকের ভূমিকায় প্রথমেই সাফল্য পেলেন। সোহিনী বললেন, ‘রাজনীতি সম্পূর্ণ আলাদা জায়গা। এটা আলাদা জায়গা। এখানে ও নিশ্চয়ই সাফল্য পাবে। তবে রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েও নিজের একশো শতাংশ উজাড় করে দিয়েছিল। স্ত্রী হিসেবে জানি, ও নিজের কাজের প্রতি কতটা সচেষ্ট। ওর উপর সেই ভরসা আছে।’