AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anwar Ali: পাল্টা খেলা শুরু, আনোয়ার ইস্যুতে এ বার আদালতে ছুটল ইস্টবেঙ্গল

Anwar Ali transfer row: আনোয়ার আলিকে ৫ বছরের চুক্তিতে সই করিয়েছে ক্লাব। মোহনবাগানের সঙ্গে তাঁর চুক্তি থাকার দরুণ বিষয়টি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি বা পিএসসিতে গিয়েছিল। কমিটি খতিয়ে দেখে আনোয়ারকে ৪ মাস সাসপেন্ড করেছে।

Anwar Ali: পাল্টা খেলা শুরু, আনোয়ার ইস্যুতে এ বার আদালতে ছুটল ইস্টবেঙ্গল
Anwar Ali: পাল্টা খেলা শুরু, আনোয়ার ইস্যুতে এ বার আদালতে ছুটল ইস্টবেঙ্গলImage Credit: X
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2024 | 6:06 PM
Share

কলকাতা: হাতে পেতেও, হাতে নেই ফুটবলার। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো নির্বাসনে পড়তে হয়েছে ক্লাবকে। মরার উপর খাঁড়ার ঘা তাও এসেছে নেমে। বিপুল টাকা জরিমানা দিতে হবে ক্লাবকে। লাল-হলুদে গত কালও কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল, গেল গেল সব গেল! কোণঠাসা ইস্টবেঙ্গল এখান থেকে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, তা দেখার অপেক্ষায় ছিল ভারতীয় ফুটবল মহল। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) পাল্টা লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করে দিল। ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির এক তরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হল লাল-হলুদ।

আনোয়ার আলিকে ৫ বছরের চুক্তিতে সই করিয়েছে ক্লাব। মোহনবাগানের সঙ্গে তাঁর চুক্তি থাকার দরুণ বিষয়টি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি বা পিএসসিতে গিয়েছিল। কমিটি খতিয়ে দেখে আনোয়ারকে ৪ মাস সাসপেন্ড করেছে। ইস্টবেঙ্গল আগামী দুটো ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন কোনও ফুটবলার সই করাতে পারবে না। এবং ১২.৯ কোটি টাকার জরিমানা মোহনবাগানকে দিতে হবে। যা দেওয়ার দায়ভার ইস্টবেঙ্গল, দিল্লি ফুটবল ক্লাব এবং আনোয়ারের।

এই সিদ্ধান্তকে এক তরফা বলে দাবি করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। তাঁরা খতিয়ে দেখছিলেন এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা কোন পথে এগোনো যায়। দুটো রাস্তা খোলা ছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। এক, আদালতের দ্বারস্থ হওয়া। দুই, ফিফার কাছে আবেদন করা। অবশ্য ফেডারেশনের আপিল কমিটির কাছেও আবেদন করা যায়। ইস্টবেঙ্গল নিল প্রথম রাস্তাই। এর আগেও দল বদলের বাজারে প্লেয়ার সই করানো নিয়ে ইস্ট-মোহনের দড়ি টানাটানি দেখেছে ময়দান। তা ফুটবল সংস্থার পাশাপাশি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। মূলত ২টো বিষয় ইস্টবেঙ্গল নিশ্চিত করতে চাইছে। এক, আনোয়ারকে যত দ্রুত সম্ভব মাঠে ফেরানো। দুই, বিপুল জরিমানার অঙ্ক কমানো। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অবশ্য বলছেন, আদালতের কাছ থেকে সুবিচার পাবেন তাঁরা।

আনোয়ার ইস্যুতে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে। শনিবার আইএসএলের প্রথম ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের। সূত্রের খবর, আনোয়ার ইস্যুতে শুক্রবারই দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি চেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি ফেডারেশনের আপিল কমিটিতেও আনোয়ার ইস্যুতে যাওয়ার ভাবনা ইস্টবেঙ্গলের।

শনিবার বেঙ্গালুরুতে সুনীল ছেত্রীর টিমের বিরুদ্ধে আইএসএলের প্রথম ম্য়াচ ইস্টবেঙ্গলের। তার আগে সাংবাদিকদের কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতও কিন্তু মুখ খুলেছেন আনোয়ারকে নিয়ে। স্প্যানিশ কোচ বলে দিয়েছেন, ‘সব কিছু আমাদের হাতে নেই। কোনও সন্দেহ নেই যে, আনোয়ার টিমের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। ক্লাব ওর ব্যাপারটা নিয়ে এগোচ্ছে। ভবিষ্যৎ বলবে, কী হবে। আনোয়ারকে বাদ দিলেও টিমে অনেক ভালো প্লেয়ার রয়েছে। তাদের নিয়েই গেমপ্ল্যান তৈরি করব। আশা করি টিমের বাকিরা আনোয়ারের অভাব মেটাতে পারবে।’