লন্ডন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে (Champions League) কারা এগিয়ে? লিভারপুল (Liverpool)? নাকি রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid)? বিশেষজ্ঞরা কে কী বলছেন, তা তোলা থাক আপাতত। খোদ লিভারপুল কোচ য়ুর্গেন ক্লপ কী বলছেন, তা শুনলে রীতিমতো তাজ্জব হয়ে যেতে হবে। তিনি নিজের টিম নয়, এগিয়ে রাখছেন রিয়াল মাদ্রিদকেই। কার্লো আন্সেলোত্তির টিম দারুণ ছন্দে রয়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শুধু তাই নয়, করিম বেঞ্জেমা স্বপ্নের ফর্মে। গোলের পর গোল করে টিমকে জেতাচ্ছেন একের পর এক ম্যাচ। পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে প্রথম দফার ম্যাচে ৩-৪ হেরে গিয়েছিল রিয়াল। কিন্তু ঘরের মাঠে ফিরতি ম্যাচে বেঞ্জেমাদের প্রত্যাবর্তন দেখে চমকে গিয়েছিল ইউরোপিয়ান ফুটবল। শেষ পর্যন্ত ১-৩ জিতে নেয় তারা। সব মিলিয়ে ৬-৫ গোলে জিতে ফাইনালে উঠে পড়েছে রিয়াল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে আন্সেলোত্তির টিম নতুন রেকর্ড করে ফেলেছে। নক আউটে প্রথম ম্যাচ হেরেও দ্বিতীয় দফার ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে।
রিয়াল আর বেঞ্জেমার দুরন্ত ফর্ম দেখেই কি আন্সেলোত্তির টিমকে এগিয়ে রাখছেন ক্লপ? নাকি এটা তাঁর প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার অন্য স্ট্র্যাটেজি? যাই হোক না কেন, লিভারপুল ২০১৮ সালে রিয়ালের কাছে ১-৩ হেরে গিয়েছিল ফাইনালে। পরের বছর অবশ্য টটেনহ্যামকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল লিভারপুল। একই সঙ্গে ক্লপ বলে দিচ্ছেন, রিয়াল দারুণ ছন্দে আছে, এটা যেমন ঠিক, তেমনই কিন্তু তাঁর টিম আগের থেকে অনেক বেশি তৈরি। ক্লপের কথায়, ‘সে বার ওদের কাছে যখন হেরেছিলাম, তখন ঠিকই করেছিলাম, রিয়ালের বিরুদ্ধেই যেন পরের বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলতে পারি। তার বদলে টটেনহ্যামকে পেয়েছিলাম। সেই কারণেই বোধহয় রিয়াল আমাদের ভাগ্যেই ছিল। এটা মানতেই হবে, ফাইনালে রিয়ালই ফেভারিট। অভিজ্ঞতা প্রচুর টিমটার। এটাও ভুললে চলবে না, আগের থেকে আমরাও অনেক অভিজ্ঞ। তবে রিয়ালের সঙ্গে তুলনায় যেতে চাই না। ২০১৮ সালের হারটা এখনও ভুলতে পারিনি।’
লিভারপুল একই সঙ্গে আরও দুটো খেতাবের খুব কাছে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চেলসির বিরুদ্ধে এফএ কাপ ফাইনাল খেলবে। ইংলিশ প্রিমিয়ারের লিগ জয়ের লড়াই সিটির সঙ্গে। তার মধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়েও ভাবছেন ক্লপ। লিভারপুল কোচ কিন্তু একই সঙ্গে মনে করছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে হারের ধাক্কা ভুলে সামনে তাকাবে পেপ গুয়ার্দিওলার টিম। ‘সিটি খুব ভালো একটা টিম। রিয়ালের কাছে হারটা ওদের কাছে বিরাট ধাক্কা। এই রকম অন্ধকারের রাত আমিও দেখেছি। পরের সকালটাও একই রকম হতাশায় ঘেরা থাকে। কিন্তু তার পর আবার ঘুরে দাঁড়াতে হয়। সামনে যা থাকে, তাতেই ফোকাস করতে হয়। সিটিও ঠিক সে ভাবেই ইপিএল খেতাবটা পেতে চাইবে।’