EURO Cup 2024: কেন সন্ধে নামে না রোনাল্ডো-মদ্রিচদের কেরিয়ারে?
দীর্ঘ কেরিয়ারে আধুনিক ফুটবলের সঙ্গে মানানসই ফিটনেস, স্কিল, স্ট্যামিনা যেমন রোনাল্ডো আর মদ্রিচের রয়েছে, তেমনই রয়েছে প্রত্যাশাপূরণের তাগিদ। দায়বদ্ধতা আর নিজেকে সফল দেখতে চাওয়ার বাসনা। সব মিলিয়ে এখনও সিআর সেভেনকে টপকে যাওয়ার মতো মুখ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। মদ্রিচকে অতীত করার মতো তারকা পাওয়া যাচ্ছে না।
কলকাতা: বয়স স্রেফ সংখ্যা। কেউ কেউ বয়সকে টপকে গিয়ে রাখতে পারেন অভিনব ছাপ। ইউরো কাপ শুরুর আগে দুই ‘বুড়ো’কে নিয়ে যে কারণে চলছে চর্চা। প্রথম জন, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ৩৯ বছর বয়সেও যিনি পর্তুগালের ভরসার মুখ। প্রস্তুতি ম্যাচেও করেছেন জোড়া গোল। বাঁ পায়ে করা গোল নিয়ে চলছে আলোচনা। আর দ্বিতীয় জন, লুকা মদ্রিচ। ৩৮ বছর বয়সেও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে পারফর্ম করছেন। এ বারও ক্রোয়েশিয়ার এক্স ফ্যাক্টর। ইউরো কাপে একঝাঁক নতুন তারকার গল্প শোনা যাচ্ছে। জামাল মুসিয়ালা, ফ্লোরিয়ান উইটজ, আর্দা গুলের, কিনান ইলদিজ, বেঞ্জামিন সেস্কোরা চমকে দিতে পারেন নিজের দেশের হয়ে খেলতে নেমে। কিলিয়ান এমবাপে, হ্যারি কেনরাও থাকবেন। তার পরও যত কথা ওই দুই বুড়োকে নিয়েই।
দীর্ঘ কেরিয়ারে আধুনিক ফুটবলের সঙ্গে মানানসই ফিটনেস, স্কিল, স্ট্যামিনা যেমন রোনাল্ডো আর মদ্রিচের রয়েছে, তেমনই রয়েছে প্রত্যাশাপূরণের তাগিদ। দায়বদ্ধতা আর নিজেকে সফল দেখতে চাওয়ার বাসনা। সব মিলিয়ে এখনও সিআর সেভেনকে টপকে যাওয়ার মতো মুখ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। মদ্রিচকে অতীত করার মতো তারকা পাওয়া যাচ্ছে না। কেন দিনের পর দিন সর্বোচ্চ পর্যায়ে সাফল্য পাচ্ছেন এই দু’জন? গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রীড়া বিজ্ঞানী টনি স্টার্ডউইক, যিনি আবার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ব্রমউইচের সঙ্গে কাজ করেছেন, তিনি ব্যাখ্যা করেছেন এঁদের সাফল্যের মন্ত্র। রোনাল্ডোর সঙ্গে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে কাজ করেছেন একসময়। টনির কথায়, ‘গত শতাব্দীর শেষ দিকে ফুটবল যেমন ছিল, তার থেকে অনেক পেশাদার হয়েছে। আধুনিক ফুটবলে প্লেয়ারকে কী ভাবে তৈরি করা হবে, তার একটা রূপরেখা বানানো হয়। ডায়েট, পুষ্টি, লাইফস্টাইল, ট্রেনিং— সব কিছু একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে। আমরা প্লেয়ারকে সাফল্য পাওয়ার মতো করে তৈরি করি। আমি ৪-৫ বছর আগেই বলেছিলাম, রোনাল্ডো ৪০ বছর বয়সেও খেলবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সেটাই কিন্তু হচ্ছে।’
ক্রোয়েশিয়াকে এ বারের ইউরো কাপে ডার্কহর্স ধরা হচ্ছে। তরুণ মুখরা এসেছেন। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপের তারকা লুকা মদ্রিচের জায়গা কেউ নিতে পারেননি। দেশের হয়ে ১৭৫টা ম্য়াচ খেলে ফেলেছেন। এটাই হয়তো শেষ ইউরো তাঁর। তাও মদ্রিচে মুগ্ধতা নেই, এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি যেন প্রতি ম্যাচেই সেরাটা দেবেন বলে তৈরি হয়ে রয়েছেন। ঠিক যেমনটা রোনাল্ডো। ইউরোপের ফুটবল থেকে সরে গিয়েছেন। সৌদি আরবের লিগে খেলেন। আল নাসেরকে বিশ্বের ফুটবল প্রেমীরা নজরে রেখেছেন রোনাল্ডোর জন্যই। ২০১৬ সালে পর্তুগালকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। কাতার বিশ্বকাপটা ভালো যায়নি। তবে এ বারের ইউরো কাপে রোনাল্ডো জাতীয় টিমের মুখ হিসেবেই নামবেন।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, লুকা মদ্রিচরা যে ভাবে খেলছেন, বুড়োদের দিন শেষ, তা বলা যাচ্ছে না।