ম্যাঞ্চেস্টার : ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে সরকারিভাবে বিচ্ছেদ হয়ে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। কিছুক্ষণ আগেই ম্যান ইউয়ের তরফে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বিশ্বকাপ খেলতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এখন কাতারে। রোনাল্ডো বনাম ম্যান ইউয়ের ঠান্ডা লড়াই চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। পিয়ের্স মর্গ্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড সম্পর্কে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন রোনাল্ডো। বোঝাই গিয়েছিল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আর ফিরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত তিনি নিয়ে ফেলেছেন। আশঙ্কা সত্যি করে বিশ্বকাপের পর্তুগালের হয়ে মাঠে নামার আগেই ম্যান ইউয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক মিটে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। একসময় এই ক্লাবে খেলেই বিশ্বজোড়া পরিচিতি, খ্যাতির শীর্ষে উঠেছিলেন। কিন্তু ক্লাবের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসটা সুখকর ছিল না মোটেও। একরাশ তিক্ততা নিয়ে শেষ হল সেই অধ্যায়।
সময়ের আগেই চুক্তি বাতিলের বিষয়টি রোনাল্ডো এবং ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, উভয় দলের পক্ষ থেকেই নিশ্চিত করা হয়েছে। পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। ইউনাইটেড লিখেছে, “দুটি মেয়াদে অসামান্য অবদানের জন্য ক্লাবের পক্ষ থাকলে রোনাল্ডোকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। এরিক টেন হ্যাগের তত্ত্বাবধানে বাকিরা দলের উন্নতিতে যোগ দেবে এবং একযোগে সাফল্যের জন্য লড়বে।” সাক্ষাৎকারে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং কোচ এরিক টেন হ্যাগ-এর প্রতি ক্ষোভ উজাড় করে দেন রোনাল্ডো। ক্লাব তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলেও জানান। মনে করা হচ্ছে, সেই মন্তব্যের জেরেই ক্লাবের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ পাকাপাকি হয়ে গিয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, ইউনাইটেডের তরফে রোনাল্ডোকে আর ক্লাবে ফিরে না আসার কথা জানানো হয়। যাই হোক, বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগেই রোনাল্ডো ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক মিটিয়ে ফেললেন। এ বার চাপমুক্ত হয়ে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামতে পারবেন ৩৭ বছরের তারকা ফুটবলার।
পর্তুগিজ তারকাও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলেছেন, “দুই পক্ষের পারস্পরিক সম্মতিতে সময়ের আগেই চুক্তি শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এবং এই ক্লাবের অনুরাগীদের আমি ভালোবাসি। এই বিষয়টা কখনও বদলাবে না। এ বার নতুন চ্যালেঞ্জ খোঁজা সময়। মরসুমের বাকি সময়টা এবং ক্লাবের ভবিষ্যতের সাফল্য কামনা করি।”