কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
দিনের পর দিন নিজেকে প্রমাণ করে যান। তবু জাতীয় দলে ডাক মেলে না। আইএসএলে এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়েও দাপুটে পারফর্ম করার পরেও এগারো জনের দল থেকে বাদ পড়তে হয়। কপালে যেন অদৃশ্য কালি দিয়ে কেউ ‘বাতিল’ শব্দটা লিখে দিয়েছেন। তিনি গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার। স্টিভন কনস্টানটাইন হোক কিংবা ইগর স্টিমাচ। ঠাঁই মেলে না দেবজিতের। তবু নিজেকে প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন ‘টুনি’।
আরও পড়ুন: ভারতীয় দলে ঈশান-লিস্টন-বিপিন
ফ্রেন্ডলি ম্যাচের জন্য ৩৫ জনের দল ঘোষণা করেন ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ। সেখানে নেই দেবজিৎ মজুমদারের নাম। ডাক পেয়েছেন শুভাশিস রায়চৌধুরী, বিশাল কেইথরা। এবারের আইএসএলে লাল-হলুদ জার্সিতে নজর কাড়া পারফরমেন্স উপহার দিয়েছেন দেবজিৎ। বেশ কয়েকটি ম্যাচে সেরাও হয়েছেন। একের পর এক অনবদ্য সেভ দিয়ে ফাউলারের দলকে বেশ কয়েকটি ম্যাচে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। তবু সুব্রত পাল আসার পর দেবজিতের ঠাঁই হয় রিজার্ভ বেঞ্চে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির সেরা ক্রিকেটার কে? দৌড়ে অশ্বিন
হিন্দমোটরের টুনি অবশ্য এ সব দেখে অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছেন। মুখে কিছু বলেন না, শুধু পারফর্ম করার অসীম খিদে নিয়েই মাঠে নেমে নিজেকে প্রমাণ করে যান দিনের পর দিন। টিভি নাইন ডিজিটালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দেবজিৎ বলেন, ‘আমি এ সব নিয়ে ভাবি না। নিজের পারফরম্যান্স নিয়েই ভাবি। খারাপ লাগে না। মোটিভেশনের অভাব হয় না। বরং জেদ তৈরি হয়। আমাকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। প্র্যাকটিসে আরও মনঃসংযোগ বাড়াতে হবে। আরও ভালো পারফর্ম করলে হয়তো ঠিক ডাক পাব।’
এসসি ইস্টবেঙ্গলে সুযোগ না পাওয়া প্রসঙ্গে দেবজিত বলেন, ‘আমার কারও উপর কোনও রাগ নেই। কোচ যখন প্রয়োজন মনে করেছেন তখন আমাকে খেলিয়েছেন। পুরোপুরি কোচের সিদ্ধান্ত। মাঠে নামলে শুধু নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।’
টার্মশিটে সই করা নিয়ে ইস্টবেঙ্গলে এখন ক্লাব আর ইনভেস্টরের মধ্যে একটা টানাপড়েন চলছে। সমস্ত ফুটবলারকেই আপাতত অপেক্ষা করতে বলেছে বিনিয়োগকারী সংস্থা। দেবজিতের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদের। এই মুহূর্তে তিনি ফ্রি ফুটবলার। অন্যান্য দলের অফার থাকলেও পরের মরসুমে কোথায় খেলবেন তা এখনও ঠিক করেননি দেবজিৎ মজুমদার।