নতুন শুরুর স্বপ্ন নিয়ে মাঠে এসেছিলেন সমর্থকরা। বাংলাদেশ আর্মি ফুটবল টিমের সঙ্গে ৮৫ মিনিট অবধিও সব ঠিকঠাক ছিল। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পরিস্থিতি পুরো পাল্টে গেল। ২-০ এগিয়ে থেকে ২-২ ড্র ইস্টবেঙ্গলের। সমর্থকরা খুব বেশি হতাশ নন। এই ম্যাচটা নতুন দলের কাছে যেন ট্রায়াল ছিল। তাদের নজরে ডার্বি। কোচকে দেখেই ডার্বি জেতানোর আব্দার লাল-হলুদ সমর্থকদের। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ম্যাচ শেষে কী বললেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
দু-গোলে এগিয়ে থাকায় কি আত্মতুষ্টিতে ভুগছিল দল? ইস্টবেঙ্গল কোচ বললেন, ‘আত্মতুষ্টি নয়, ভুল। আর ভুল করলে শাস্তি হবেই। আমরা দুটো ভুল করেছি। তার খেসারতও দিতে হয়েছে। আমাদের ভুলের সুযোগেই গোল করেছে ওরা।’
শনিবার রাতে শহরে পৌঁছেছেন নতুন বিদেশি ডিফেন্ডার জর্ডন এলসে। ৮৭ মিনিটে তাঁকে নামিয়ে দেন কার্লেস। এরপরই গোল খায় ইস্টবেঙ্গল। এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে কোচ বললেন, ‘জর্ডনের কোনও জেটল্যাগ ছিল না। অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তুতির মধ্যে ছিল। ম্যাচও খেলছিল। ও নিজেও নামার জন্য প্রস্তুত ছিল।’
বাংলাদেশ টিমে কোনও বিদেশি ফুটবলার ছিল না। আপনি প্রথম একাদশে দুই বিদেশি নামিয়েছিলেন। পরে পরিবর্ত হিসেবে আরও দু-জন। কার্লেস বলছেন, ‘আমাদের কাছে প্রাক-সিজনও চলছে। প্লেয়াররা যাতে চোট না পায় সেটাও দেখতে হত। সে কারণেই প্লেয়ার পরিবর্তনও করতে হয়েছে। ওরা ক্রমশ ম্যাচ ফিট হয়ে উঠছে।’
ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ ডার্বি। কী ভাবছেন? কার্লেস বলেন, ‘ডার্বির আগে এক সপ্তাহ সময় রয়েছে। আমরা গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাব। প্লেয়াররা আরও ফিট হয়ে উঠবে।’
নীশু কুমার রেড কার্ড দেখেছে। ডার্বিতে ওকে না পাওয়া কতটা সমস্যা? ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচের কথায়, ‘সমস্যা অবশ্যই। তবে ডার্বির কথা বলছি না। আজকের ম্যাচে ওর রেড কার্ডটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ছন্দ নষ্ট না হলে আমরা হয়তো ৩-০, কিংবা ৪-০ জিততে পারতাম। কোনও একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিলে তার নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।’
ডার্বিতে কি অধিনায়ক ক্লেটন সিলভাকে পাওয়া যাবে? কোচ জানালেন, ‘ওর ভিসা সমস্যা মিটেছে বলে জানি। ক্লেটন পরের সপ্তাহে আসবে। ডার্বিতে পাওয়া যাবে কিনা নিশ্চিত নয়। ও ব্রাজিলে অনুশীলনের মধ্যেই রয়েছে। ও পৌঁছনোর পর বোঝা যাবে।’