লড়াইয়ের অদম্য জেদের জন্য পরিচিত লাল-হলুদ। গত কয়েক বছর অবশ্য এই পরিচিতিতে মরচে পড়েছিল। বরং উল্টোটাই হয়েছে। এ মরসুমে এখনও অবধি ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। ২০০৪ সালের পর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে লাল-হলুদ। যদিও ইস্টবেঙ্গলের আকাশে ম্যাচের শুরু থেকে শুধুই মেঘ। আদৌও আকাশ পরিষ্কার হবে কিনা, সন্দেহ ছিল। গ্যালারি থেকে সমর্থকরা ভরসা দিলেন। ফুটবলাররাও সর্বস্ব নিংড়ে দিলেন। ০-২ পিছিয়ে পড়া ম্যাচ, শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। টাইব্রেকারে অনবদ্য জয়। ফাইনাল নিশ্চিত করে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত যা বললেন, বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ম্যাচের ২২ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। ৫৭ মিনিটে আরও একটা গোল হজম। ০-২ পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানো সহজ নয়। প্রথম একাদশে নানা পরিবর্তন করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাঁর পরিকল্পনাগুলো ভুল প্রমাণ হচ্ছিল। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে এক গোল ফিরিয়ে দিতেই লাল-হলুদ গ্যালারিতে প্রাণ ফেরে। অ্যাডেড টাইমে গোল করে সমতা ফেরান মরসুমের প্রথম ডার্বি জয়ের নায়ক নন্দকুমার। ডুরান্ডের নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়। আর টাইব্রেকার মানে দু-দলের শুন্য থেকে শুরু। ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেন, ‘প্রথম একাদশে পরিবর্তনের কারণ, ফুটবলাররা ক্লান্ত ছিল। টানা ম্যাচ খেলেছে। সে কারণে সকলকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের কাছে এটা প্রাক মরসুমও। সেই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হত। বিশেষ করে সৌভিক ও বোরহা খুবই ক্লান্ত ছিল।’
টাইব্রেকারে অনবদ্য ইস্টবেঙ্গলের তরুণ গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল। শেষ অবধি ৫-৩ ব্যবধানে জয় ইস্টবেঙ্গলের। টার্নিং পয়েন্ট কোনটা? ইস্টবেঙ্গল কোচ বলছেন, ‘ম্যাচে টার্নিং পয়েন্ট বলে কিছু নেই। প্লেয়ারদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। ওদের হার না মানা মানসিকতার ওপর ভরসা ছিল। প্লেয়ারদের বলেছিলাম, হারার আগে হারবে না। যতক্ষণ মাঠে থাকব, লড়াই করব। সেটাই করেছে ছেলেরা। দুটো খুব বাজে গোল হজম করেছি। তবুও প্লেয়ারদের ওপর বিশ্বাস ছিল। ৯০ মিনিট অবধি যা কিছু হতে পারে। ওরা সেটাই করে দেখিয়েছে।’
ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে প্রথম খেলছেন প্রভসুখন গিল। তরুণ এই গোলরক্ষক প্রতিনিয়ত ভরসা দিচ্ছেন। টাইব্রেকারে ম্যাচ গড়ানোয় নজর ছিল তাঁর দিকেও। ম্যাচ জিতে গিলও জানালেন, জয়ের মুহূর্তগুলো আগে থেকেই অনুভব করছিলেন। সে কারণেই মাথা ঠান্ডা রাখতে পেরেছিলেন।