নাটকীয় জয়। টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। এই নিয়ে ২৭ বার ডুরান্ডের ফাইনালে জায়গা করে নিল তারা। বহুদিন ট্রফির মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। এ বার নতুন শুরু। গত মরসুমের হাতে গোনা কয়েকজন ফুটবলারকে রাখা হয়েছে। ডুরান্ড কাপে শুরুটা ভালো হয়েছিল। প্রথম ম্যাচে ড্র করলেও পরবর্তী দু-ম্যাচ জিতে নকআউটে। কার্লেস কুয়াদ্রাতে ভরসা রাখছিলেন সমর্থকরাও। দীর্ঘ চার বছর পর ডুরান্ডের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আর দুটো ম্যাচ জিতলেই ট্রফি। রইল বাকি এক ম্যাচ। এর আগে ২০০৪ সালে শেষ বার ডুরান্ডের ফাইনালে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। এ দিনও আশঙ্কা ছিল সেমিফাইনালে বিদায়ের। তবে শেষ মুহূর্তে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন। নর্থ ইস্ট বাধা পেরিয়ে ফাইনালে লাল হলুদ। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সেমিফাইনালের আগে অবধি অপরাজিত থাকলেও ইস্টবেঙ্গলকে চিন্তায় রেখেছিল রক্ষণ ভাগ। বিশেষ করে প্রথম ম্যাচে ২ গোলে এগিয়ে থাকার পরও বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে ২-২ অবস্থায় ম্যাচ শেষ হয়েছিল। সিনিয়র দলের মরসুমের প্রথম ম্যাচ বলে তা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামানো হয়নি। বাকি ম্যাচগুলিতে আক্রমণ ভাগ ভালো খেলায় এবং বিষয়টিতে তেমন নজর পড়েনি। নকআউটে ভুল শোধরানোর সুযোগ নেই। প্রথমার্ধে জাবাকোর গোলে এগিয়ে যায় নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড। ২২ মিনিটে মিগুয়েল জাবাকোর গোলে স্তব্ধ গ্যালারি। অনবদ্য একটা সেন্টার, জোরালো হেডে গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে ফাল্গুনীর একক দক্ষতার গোলে ২-০ এগিয়ে যায় নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। তবে নাটক জমে শেষ দিকে। ৭৭ মিনিটে সাউল ক্রেসপোর লো ক্রস, গোলে শট করেন নাওরেম মহেশ। ডিফ্লেকশনে গোল। ৮ মিনিট অ্যাডেড টাইম দেন রেফারি। অ্যাডেড টাইমে জোড়া হলুদ কার্ড এই ম্যাচে নর্থ ইস্টের প্রথম স্কোরার। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জাবাকো। সেই ফ্রি-কিক থেকেই তৈরি মুভে গোল। ক্লেটন সিলভার সেন্টারে হেডে সমতা ফেরানোর গোল করেন ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের নায়ক নন্দকুমার। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষ অবধি ৫-৩ ব্যবধানে রুদ্ধশ্বাস জয়।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। যুবভারতীতে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে নামছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সেই ম্যাচে সবুজ মেরুন জিতলেই ফাইনালে ফের ডার্বি। সেই প্রত্যাশায় ফুটবল প্রেমীরা।